বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন হিলির শহিদ বেদি থেকে বিজেপির গান্ধী সংকল্প যাত্রার সূচনা হয়। মাঝপথে তিওর কালীবাড়ি এসে কর্মসূচিতে যোগদানকারী নেতা-কর্মীরা খাওয়াদাওয়া সেরে বিশ্রাম নেন। তারপর কামারপাড়া গিয়ে পথসভার মাধ্যমে এদিনের কর্মসূচি শেষ হয়। বিজেপির সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা দেশে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। পুজোর জন্য আমরা দেরি করে এই কর্মসূচি শুরু করেছি। গান্ধীজির যে চিন্তাধারা, তা জনসাধারণের সামনে তুলে ধরাই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। জনসংযোগ বাড়ানোই মূল উদ্দেশ্য। এদিন অনেকে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ফলে পুরো রাস্তা হাঁটতে পারেননি। আশা করছি আগামী কর্মসূচিতে সকলে সম্পূর্ণ রাস্তা হাঁটবেন।
এদিন হিলি শহিদ বেদিতে মাল্যদান করে কর্মসূচির সূচনা করেন সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার, সাধারণ সম্পাদক বাপী সরকার, মানস সরকার, নীলাঞ্জন রায়, বিপ্লব মিত্র প্রমূখ। সংকল্প যাত্রার প্রথমে সকলে ঠিকঠাক ভাবে হাঁটলেও হিলি থেকে ত্রিমোহিনি পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার পথ হাঁটতে গিয়ে প্রথমেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন বিপ্লব মিত্র। তিনি গাড়ি করে বাড়ি চলে যান। ত্রিমোহিনি পর্যন্ত এসেই আরও অনেকে নেতা ও কর্মীরা কর্মসূচি থেকে সরে পড়তে শুরু করেন। এর পরে তিওর কালীবাড়ি পর্যন্ত এসে পৌঁছয় ওই পদযাত্রা। কালীবাড়িতে খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন সকলে। বিশ্রাম নিয়ে কর্মীরা হেঁটে কামারপাড়ার উদ্দেশে রওনা দিলেও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব গাড়ি করে তিওর আশ্রম পৌঁছয়। খোদ জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার, সাধারণ সম্পাদক মানস সরকার, রঞ্জন মণ্ডল, নীলাঞ্জন রায় ছাড়া আরও অনেকে গাড়ি চেপেই যান। কালীবাড়ির পরে খোদ সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদারকেও আর দেখা যায়নি। অনেকে কর্মীও মিছিলে না হেঁটে গাড়ি করে এসে বাজারের আগে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে থাকেন। পদযাত্রা ছন্নছাড়া হয়ে যাওয়ায় কামারপাড়া পৌঁছতে হাতেগোনা কয়েকজন কর্মীদেরই দেখা মিলেছে। যেখানে ১৫ কিলোমিটার হেঁটে এই কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে কর্মসূচির প্রথম দিনেই জেলায় এমন চিত্র সামনে আসতে রাজনৈতিক মহলেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।