গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে গান্ধীজির স্বপ্নের গণতন্ত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্যই সঙ্কল্প যাত্রা শুরু করা হয়েছে। আমরা এই র্যালির মাধ্যমে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের এদিনের র্যালিটি বেলাকোবা পর্যন্ত করার কথা থাকলেও এমপি’র অন্য কিছু কর্মসূচি থাকায় সেটি কালিয়াগঞ্জে শেষ করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের বিরুদ্ধে যতই অপপ্রচার করুক সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছে।
জলপাইগুড়ি এমপি বিজেপির জয়ন্ত রায় বলেন, সঙ্কল্প যাত্রায় অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি। মঙ্গলবার ১৩টি জায়গায় র্যালি হয়েছে। দলের মহিলা কর্মীরা দীর্ঘ পথ হাঁটতে পারবেন না জেনেই বেলাকোবার পরিবর্তে কালিয়াগঞ্জেই এদিন র্যালি শেষ করে দেওয়া হয়।
রাজগঞ্জের বিধায়ক তৃণমূলের খগেশ্বর রায় বলেন, লোকসভা ভোটে ভুল বুঝিয়ে মানুষের কাছ থেকে ওরা ভোট নিয়েছে। এবার ধীরে ধীরে ওদের মুখোশ খুলছে। বিজেপির আসল চরিত্র কী সেটা অসমে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। ওই তালিকায় সেখানকার ১৪ লক্ষের মধ্যে ১১ লক্ষ হিন্দুর নাম নেই। এনআরসি আতঙ্কে আমাদের জেলায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও হয়েছে। ওরা এখন জনসমর্থন হারতে শুরু করেছে। এদিনের কর্মসূচি সেটা পরিষ্কার করে দিল।
বিজেপি দেশজুড়ে গান্ধী সঙ্কল্প যাত্রা শুরু করেছে। জলপাইগুড়ি এমপি’র নেতৃত্বে বিধানসভা ভিত্তিক সঙ্কল্প যাত্রা চলছে। মঙ্গলবার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে সঙ্কল্প যাত্রা হয়। এদিন রাজগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে সঙ্কল্প যাত্রা শুরু হয়। পাহাড়পুর থেকে বেলা ১টার সময় এই র্যালি শুরু হওয়ার কথা হলেও এমপি নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে আসায় দেরিতে কর্মসূচি আরম্ভ হয়। পাহাড়পুরের পরিবর্তে র্যালি এগিয়ে গোশালা মোড় থেকে সূচনা করেন এমপি। র্যালিতে দলের জেলাস্তরের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব থাকলেও কর্মী সমর্থক ছিলেন মাত্র কয়েকজন। গোশালা মোড় থেকে ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগান যাওয়ার পরেই অধিকাংশ কর্মী র্যালি থেকে সরে যান। বাধ্য হয়ে র্যালি কালিয়াগঞ্জে এসেই শেষ করে বিজেপি নেতৃত্ব। ১২ কিমি রাস্তায় এই র্যালি যাওয়া কথা থাকলেও চার কিমিতেই শেষ হয়ে যায়। পাহাড়পুর থেকে শুরু করে রংধামালী হয়ে বেলাকোবায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় র্যালিটি শেষ হয়।