বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
চাপাডাঙার বাসিন্দা মজিবুল ইসলাম বলেন, মাল ব্লকের পলাশবাড়ি থেকে ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমোহনি মোড়বাজার পর্যন্ত ১১ কিমি রাস্তাটি অনেক দিন ধরেই বেহাল হয়ে রয়েছে। দু’টি ব্লকের লক্ষাধিক মানুষকে এজন্য বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এমনকী ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায় দিনই আমরা দুর্ঘটনার মুখে পড়ছি। আমরা চাই সাধারণ মানুষের স্বার্থে রাস্তাটি প্রশাসন দ্রুত তৈরি করে দিক। কারণ এই রাস্তা দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই জলপাইগুড়ি যাওয়া যায়।
ক্রান্তির মিজানুর আলম বলেন, জলপাইগুড়ি যাওয়ার জন্য এখানকার বাসিন্দারা এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু বর্তমানে রাস্তার অবস্থা এতটাই বেহাল যে প্রতিপদে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। আমরা এই ব্যাপারে বহুবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি।
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তরা বর্মন বলেন, কিছু রাস্তা বর্ষার সময়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ওসব রাস্তা চিহ্নিত করছি। ওই রাস্তাটিও সমীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে অর্থ বরাদ্দ করে মেরামত করে দেব।
জলপাইগুড়ি জেলার মাল ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা তিস্তা নদীর ধার ঘেঁষে জেলা পরিষদের এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। এই রাস্তা দিয়ে তাঁরা দ্রুত জলপাইগুড়ি সদরে পৌঁছতে পারেন। যেহেতু কম সময়ের মধ্যে জলপাইগুড়িতে যাওয়া যায় তাই এই পথেই ছাত্রছাত্রীরা স্কুল, কলেজে যান। প্রসূতি, রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে দ্রুত জলপাইগুড়ির হাসপাতালে কিংবা নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া যায়। তাই এই রাস্তাটি কমবেশি সকলেই ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু রাস্তাটি ভাঙাচোরা থাকলেও উপায় না থাকায় প্রতিদিন কষ্ট করে লোকজন তা ব্যবহার করছেন। বাসিন্দাদের দাবি, বর্তমানে প্রায় ১১ কিমি এই রাস্তা চলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তার যেখানে সেখানে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। দিনের বেলায় যাতায়াত করা গেলেও রাতে এই রাস্তা দিয়ে কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে অনেকেই সন্ধ্যার পর ময়নাগুড়ি হয়ে অনেকটা ঘুরে যাতায়াত করেন। এই রাস্তায় রাতের পাশাপাশি দিনের বেলাতেও চলতে গিয়ে অনেকে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের কাছে রাস্তা সংস্কারের দাবি নিয়ে দরবার করা হলেও আজও তা মেরামত করার কোনও উদ্যোগ তারা নেয়নি।
ক্রান্তি, চ্যাঙমারি, রাজাডাঙা, ওদলাবাড়ি গ্রামের কয়েক লক্ষ মানুষ রাস্তাটি ব্যবহার করেন। জলপাইগুড়ি যাওয়ার জন্য লাটাগুড়ির ক্রান্তি মোড় দিয়ে ময়নাগুড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি যাওয়া যায়। কিন্তু ওই রাস্তা ধরে গেলে প্রায় ৬১ কিমি যেতে হয়। তিস্তার ধার ঘেঁষে পলাশবাড়ি, দোমোহনি বাজার হয়ে জলপাইগুড়িতে যেতে মাত্র ৩৩ কিমি পথ অতিক্রম করলেই হয়ে যায়। তাই দুর্ভোগ নিয়েই পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ রাস্তাটি ব্যবহার করেন।