বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ব্লক কৃষিদপ্তরের আধিকারিক প্রদীপ্ত ভৌমিক জানান, সাবেক ছিটমহলের সঙ্গে পাশ্ববর্তী এলাকার জমির খতিয়ান নম্বর এক হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই আমরা বাংলার ভূমি সাইটে গিয়ে সেই খতিয়ান নম্বর খুজে পাইনি। ফলে প্রথম পর্যায়ে সেই আবেদন বাতিল করা হয়েছিল। পরবর্তীতে অভিযোগ আসায় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বেশ কিছু বাসিন্দার সমস্যা মেটানো হয়েছে। আমরা তাঁদের হাতে দ্রুত কৃষকবন্ধু প্রকল্পের চেক তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
অপরদিকে সাবেক ছিটের বাসিন্দা দীপঙ্কর বর্মন বলেন, ফলনাপুর সাবেক ছিটমহল মৌজার সঙ্গে সাঙারবাড়ি ও মহিষমুড়িকে জুড়ে দেওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে কৃষিদপ্তরও তাদের দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। কারণ কৃষিদপ্তর কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম তুলতে গিয়ে একাধিক ভুল করেছে। তার ফলেই আমরা সহায়তা পাচ্ছি না। প্রথম পর্যায়ে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের চেক বিতরণের পর তিনমাস অতিক্রান্ত হলেও সাবেক ছিটবাসীরা চেক না পাওয়ায় এনিয়ে তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ জমছে।
২০১৫ সালে সাবেক ছিটমহল বিনিময় হওয়ার পর এবছরই তাঁদের হাতে জমির খসড়া খতিয়ান তুলে দেয় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। চূড়ান্ত খতিয়ান না হওয়ার কারণে রাজ্য সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের ওয়েবসাইট বাংলার ভূমি-তে এখনও এই খতিয়ানগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সাবেক ছিটের বাসিন্দারা কৃষকবন্ধু প্রকল্পের জন্য আবেদন করার পর তাঁদের সেই খসড়া খতিয়ান ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে ভেরিফিকেশন করিয়ে নিয়েছিল ব্লক কৃষিদপ্তর। সেই সময়ে সাবেক ছিটমহল ফলনাপুরের প্রায় ৫০০ বাসিন্দার আবেদন এই প্রকল্প থেকে বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে বাসিন্দারা এনিয়ে ভূমি সংস্কার দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর পরও তিনমাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। একাধিক ব্যক্তির আবেদনে অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে কৃষিদপ্তর তাঁদের নাম প্রকল্প থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছে। যদিও কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা জানান, জমির খতিয়ানের ভিত্তিতে আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। সেটা নিয়ে সমস্যা থাকার ফলে বেশকিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রতিটি আবেদন গুরত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।