বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আক্রান্ত ঘূর্ণি মাহাত বলেন, মঙ্গলবার সকালে আমার এক প্রতিবেশী ও তার পরিবারের লোকেরা একটি ট্রাক্টরে করে আমার উঠোন দিয়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এতে আমার বাড়ির উঠোন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ট্রাক্টর নিয়ে যেতে আপত্তি জানাই। ওরা আমার আপত্তিতে কর্ণপাত তো করেইনি, উল্টো পরিবারের চার সদস্য এসে আচমকাই কোদাল, লাঠি নিয়ে আমার উপর চড়াও হন। ওনারা কোদালের বাট দিয়ে আমার কাঁধে মেরে রক্তাক্ত করে দেয়। কোমড়েও লাঠিপেটা করে। চিৎকার করে নিজের ঘরে ছুটে পালিয়ে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করি। কিন্তু ওরা আমার বাড়িতে গিয়েও মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। গলায় থাকা আমার চার ভরি ওজনের একটি রূপোর হারও টেনে ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা ছুটে আসতেই ওরা আমাকে আর প্রাণে মারতে পারেনি। আমার স্বামী দিল্লিতে ও বড় ছেলে কেরলে থাকে। ছোট ছেলে বাড়িতে থাকলেও মঙ্গলবার সকালে ঘটনার সময় বাড়িতে ছিল না। বাসিন্দারা এগিয়ে না এলে ওরা আমাকে এদিন মেরেই ফেলত।
আক্রান্ত মহিলার চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ এখনও কাটেনি। তাঁর বক্তব্য ফের ওরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে। অভিযুক্তদের পক্ষে ওই পরিবারের এক সদস্য অবশ্য বলে, ঘূর্ণিদেবী আমাদের পরিবারের লোকেদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন। আমাদের বাড়ির মহিলারা তার প্রতিবাদ করেন। পুরুষরা কেউ হামলা চালায়নি। আমাদের জমি থেকে ট্রাক্টরে করে মাটি আনা হচ্ছিল ঠিকই। এতে ওদের কোনও সমস্যা করা হয়নি। অহেতুক গালিগালাজ করে। শ্লীলতাহানি ছিনতাইয়ের মিথ্যে অভিযোগ করেছেন।