বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের পর ফাঁড়ির কোনও কাগজপত্রই আর আস্ত নেই। আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। অপরাধীদের সব তথ্য আগুনে পুড়ে যাওয়ায় ফাঁড়ির আধিকারিকদের মাথায় হাত পড়েছে। কীভাবে সবকিছু পুনরুদ্ধার করা যাবে তা নিয়ে তাঁরা চিন্তায় পড়েছেন। মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, মিল্কি ফাঁড়ি এদিন থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে। ফাঁড়ির পরিকাঠামো বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা মিল্কি ফাঁড়িতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছি। চারজন পুরুষ ও চারজন মহিলা কনস্টেবল সেখানে স্থায়ীভাবে ডিউটি করবেন। ফাঁড়ির উপর মানুষের আস্থা রয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিস কাজ করবে।
ওসি মণিরুল সাহেব বলেন, এখনও পর্যন্ত অফিসের জন্য নির্দিষ্ট কোনও ঘরের বন্দোবস্ত হয়নি। ফলে এদিন খোলা আকাশের নিচে চেয়ার, টেবিল পেতে ডিউটি করেছি। অন্যান্য দিন একাধিক জেনারেল ডায়েরি ও এফআইআর দায়ের হয়। তবে এদিন কোনও অভিযোগ বা সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে কেউ আসেনি। পুড়ে যাওয়া নথি জোগার করা নিয়ে আমরা চিন্তিত। আদালতে কিছু নথির কপি পাওয়া যাবে। ইংলিশবাজার থানাতেও কিছু কপি রয়েছে। তবে বেশ কিছু নথি আর উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। হামলাকারীদের ভিড়ে দুষ্কৃতীরা মিশেছিল। তারা পরিকল্পনামাফিক নথিপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। তবে তারা রেহাই পাবে না। অফিসারদের মোবাইলেও বেশ দুষ্কৃতীদের নামধাম রয়েছে। তার ভিত্তিতে আমরা তাদের খুঁজে বের করব।
প্রসঙ্গত, জুয়ার ঠেক থেকে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে মিল্কি ফাঁড়ি চত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। কয়েকশো গ্রামবাসী রাতের অন্ধকারে ফাঁড়িতে হামলা চালায়। মদ এবং জুয়ার কারবারে বাধাদানের ফলে ফাঁড়িতে হামলা চলে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে। হামলাকারীদের সঙ্গে দাগি অপরাধীরা ছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে। যেভাবে আলমারি থেকে বের করে ফাঁড়ির ফাইলপত্র আগুনে পোড়ানো হয়েছে তাতে অভিসন্ধির বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন ফাঁড়ি ও থানায় হামলার সময় পুলিসের ‘ক্রাইম রেকর্ড’ নষ্ট করার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধারনা, তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে পারলে তারা মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে যাবে। কিন্তু আদালতে জমা পড়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলা চলতে কোনও অসুবিধা নেই বলে পুলিস আধিকারিকরা জানিয়েছেন।