কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি জয় লাভ করেছিল। পরবর্তীতে বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত তারা নিজেদের দখলে আনতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি আবার হাতে আসা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে বেশ কিছু বিজেপির হাত ছাড়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে এর ফলে বিজেপি কিছুটা হলেও চাপের মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই সংকল্প যাত্রা বিজেপি শিবিরে বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, এতে বিজেপির তেমন কোনও সুবিধা হবে না।
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, আমরা বুধবার থেকে জেলায় সংকল্প যাত্রা শুরু করছি। যাত্রা শুরুর আগে অথবা পরে পথসভা, জনসভা হবে। এই যাত্রায় সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকবেন। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ, গান্ধীজির অহিংস নীতির প্রচার, পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসের পরিস্থিতির কথা মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা প্রভৃতি এই যাত্রার মাধ্যমে করা হবে। এই বিষয়ে জানার জন্য নিশীথ প্রামাণিককে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, অন্য রাজনৈতিক দল তাদের কর্মসূচি পালন করতেই পারে। তবে মানুষ ওদের পাশ থেকে সরে গিয়েছে। এসবে আর কোনও লাভ হবে না।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি তথা প্রাক্তন সংসদ সদস্য পার্থপ্রতিম রায় বলেন, মানুষ এদের দ্বিচারিতা বুঝতে পেরেছে। ফলে এই জেলায় এসবের কোনও প্রভাব পড়বে না। মানুষ এদের সঙ্গে নেই।
গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি এই জেলায় তাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। গ্রাম পঞ্চায়েত দখল, সদস্য সংগ্রহ অভিযান প্রভৃতির মাধ্যমে নীচুতলায় বিজেপি তাদের শক্তি সঞ্চয় করেছিল। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের দখলে আনা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি তাদের হাতছাড়া হতে শুরু করেছে। ঘরওয়াপসির মাধ্যমে তৃণমূল সেগুলি পুনর্দখল করতে শুরু করেছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রে দুই দলই উভয়ের বিরুদ্ধে ক্রমাগত সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে। এদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হাতছাড়া হওয়ায় জেলায় বিজেপি কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এই পরিস্থিতিতে বিজেপির এই সংকল্প যাত্রা জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলিতে সংগঠনের মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছ রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোটর বাইক, গাড়ি প্রভৃতির মাধ্যমে র্যা লি ও সেই সঙ্গে পদযাত্রার মাধ্যমে এই সংকল্প যাত্রা করা হবে। গ্রামে গ্রামে এই যাত্রা পৌঁছালে সেখানে সভা করা হবে। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলায় আসার কথা রয়েছে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর। তিনি কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভায় সভা করবেন। পাশাপাশি ওই দিনের সংকল্প যাত্রাতেও অংশ নিতে পারেন তিনি।