পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় নৌসেরা সেক্টরে পাক সেনার ছোড়া গোলায় মৃত্যু হয় সুভাষের। রবিবার দুপুর ৩ টা নাগাদ দিল্লি থেকে বাগডোগরাতে আসে শহিদের কফিনবন্দি দেহ। সেদিন ব্যাঙডুবি ১৫৮ বেসড হাসপাতালে রাখা হয় মৃতদেহ। এদিন সকাল থেকেই কয়েক হাজার মানুষের ভিড় উপচে পড়ে পানিঘাটা মোড়ের রাস্তার ধারে থাকা সুভাষের বাড়ির সামনে। সকাল ৯টা নাগাদ ব্যাঙডুবি আর্মি ক্যান্টনমেন্টের ভেতরের রাস্তা দিয়ে সুভাষের কফিনবন্দি শরীর পৌঁছয় তাঁর বাড়িতে। বাড়িতে মৃতদেহ আসা মাত্র কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজন ও এলাকাবাসীরা। মা পদমা থাপা ও বাবা টেক বাহাদুর থাপা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাঁকে চোখের জলে বিদায় জানান। পারিবারিক ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শেষে প্রায় দেড় ঘণ্টা বাদে সুভাষের মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করে বের করেন এলাকাবাসী। সঙ্গে চলে ‘সুভাষ থাপা অমর রহে’, ‘ভারত মাতাকি জয়’, ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’-এর মতো স্লোগান। এদিন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে হাজার পাঁচেক মানুষ এই মিছিলে যোগ দেয়। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এদিন সকালে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শংকর মালাকার ও বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী সুভাষ থাপাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে যান। তবে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে দেখা যায়নি।
শহিদ সুভাষের মৃতদেহ বাগডোগরায় আসার পর প্রথম দিন মন্ত্রী গৌতম দেবকে এলাকায় দেখা গেলেও দার্জিলিং সংসদ সদস্য রাজু বিস্তাকে কিন্তু একদিনও দেখা যায়নি। বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, আমি গত শনিবার সুভাষের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে এসেছি। এদিনও তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছি। সংসদ সদস্য আপাতত পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মণিপুরে রয়েছেন। তাই হয়ত তিনি আসতে পারেননি।