কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আমাদের কাছে জানাতে পারেন। তারজন্য বিচারবিভাগের দরজাও খোলা রয়েছে। কিন্তু থানায়, ফাঁড়িতে হামলা চালানো যায় না। এই ধরনের ঘটনা সরাসরি আইনের শাসনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর শামিল। পুলিস কর্মীদের মনোবল ফেরানোর জন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িতেদের রেয়াত করা হবে না। মূল মাথাদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নজরদারি এলাকার দিক থেকে মিল্কি ফাঁড়ি মালদহের মধ্যে সবচেয়ে বড়। ওই ফাঁড়ির আওতায় পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। সেখানকার জনসংখ্যাও অনেক বেশি। অন্যদিকে, কালিয়াচক থানার আওতায় থাকা গোলাপগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফাঁড়ি হিসাবে পুলিস কর্তাদের কাছে বিবেচিত হয়। কারণ ওই ফাঁড়ি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। তবে ওই ফাঁড়ির আওতায় মাত্র দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। জেলার অন্যান্য থানার আওতাতেও কমবেশি ফাঁড়ি রয়েছে। আগে মোথাবাড়ি, ভূতনি এবং পুখুরিয়া ফাঁড়ি ছিল। গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই তিনটি ফাঁড়িকে থানার রূপ দেওয়া হয়।
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, ফাঁড়িতে সাধারণত তিন জন আধিকারিক এবং ছয় জন পুলিস কর্মী থাকেন। ছ’জনের মধ্যে কনস্টেবল, হোমগার্ড এবং এনভিএফ কর্মী থাকেন। ফাঁড়িগুলির দায়িত্বে একজন করে সাব ইন্সপেক্টর থাকেন। তাঁর আওতায় দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর কাজ করেন। সংশ্লিষ্ট ফাঁড়ির আওতায় থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিসরা নিয়মিত থানায় যাতায়াত করেন। তাঁদের বিভিন্ন কাজে লাগানো হয়। ফলে থানার মতো ফাঁড়িতে পর্যাপ্ত পুলিস কর্মী থাকে না। এই সুযোগকে মাঝেমধ্যেই দুষ্কৃতীরা কাজে লাগায়। মিল্কি ফাঁড়িতে হামলা চলানোর সময় সবার আগে দুষ্কৃতীরা ক্রিমিনাল রেকর্ড নষ্ট করে দিয়েছে। আলমারি থেকে ফাইল বের করে আগুন ধরানো হয়। ফলে হামলাকারীদের সঙ্গে দাগি অপরাধীরা ছিল বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। যাতে তাদের অপরাধ সম্পর্কে পুলিসের কাছে থাকা সব তথ্য নষ্ট হয়ে যায় তা তারা চেয়েছিল। কয়েকবছর আগে কালিয়াচক থানাতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে আফিম কারবারিরা থানায় অগ্নিসংযোগের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পরে জানা যায়। মহানন্দাটোলা ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালানোর সময় হামলাকারীরা পুলিসি রেকর্ড নষ্ট করতে তৎপর হয়। পুলিসের রেকর্ড নষ্ট করে মৃতের বাড়ির লোকজনের কোনও লাভ হবে না। তারা বড়জোড় রাগের বশে পুলিস কর্মীদের মারধর করতে পারে। কিন্তু গোলমাল লাগিয়ে তথ্য লোপাটের পিছনে পাকা মাথা কাজ করে। তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।