বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, বিজেপির নেতাদের সঙ্গে যদি আমাদের দলের কেউ যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব রাখেন তবে তাঁরা যেন দলে ছেড়ে অন্য দলে চলে যান। এনিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করব। এনিয়ে বিপ্লববাবুকে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে এখনও তৃণমূলের একাধিক নেতার যোগাযোগ রয়েছে। দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে একাধিক তৃণমূল নেতার ক্লাবে তাঁকে দেখা গিয়েছে। বিশাল কনভয় সহ শতাধিক অনুগামী নিয়ে তিনি সেই ক্লাবগুলিতে সপরিবারে পুজো পরিদর্শন করেছেন। যদিও সেই সমস্ত ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তারা বিপ্লব অনুগামী বলে পরিচিত হলেও এখনও শাসক দল তৃণমূলেই রয়ে গিয়েছেন। তৃণমূলে থেকেও কীভাবে তাঁরা বিপ্লববাবুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অর্পিতা ঘোষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, ফেসবুকে বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে তৃণমূলের একাধিক পদাধিকারীর পাশাপাশি জেলা নেতৃত্বের বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক মহল বিষয়টিকে সৌজন্যের রাজনীতি বললেও শাসক দলের একাংশ বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছেন না।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপ্লববাবুর ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বন্ধু তালিকায় তৃণমূলের জেলা কমিটির অধিকাংশ নেতা এখনও রয়েছেন। তিনি বিজেপিতে যোগদান করলেও তৃণমূলের অধিকাংশ নেতার সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সমলোচনা শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা এখনও অনেকে ভুলতে পারেননি। যেকারণে এখনও বিপ্লববাবুকে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বন্ধু তালিকা থাকে বাদ দিতে অনেকের মনেই দ্বিধা কাজ করছে। এক্ষেত্রে অনেকেই রাজনীতির বাইরে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে অস্বীকার করতে পারছেন না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা বিপ্লববাবুর সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে দিয়েছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে বিষয়টি কোনও ভাবেই ভালো চোখে দেখছেন না জেলায় তৃণমূলের সুপ্রিমো অর্পিতা ঘোষ। তিনি ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে কোনও নেতাই যাতে বিজেপির সঙ্গে সংস্রব না রাখেন। তাঁরা যেন দলের স্বার্থে দ্রুত বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এরপরেও যাঁরা বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন তাঁরা চাইলে দল ছাড়তে পারেন বলেও অর্পিতাদেবী জানিয়ে দিয়েছেন।