কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক সমরেন্দ্র খাঁড়া বলেন, আমাদের জেলায় আগে সেভাবে রসুনের চাষ হতো না। এখন বালুরঘাট ব্লকের কিছু এলাকায় চাষ হচ্ছে। তবে সেই ভাবে চাষ হচ্ছে না যা দিয়ে জেলার চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। আগামীতে যাতে বিপুল পরিমাণ রসুনের চাষ করা যায় সেদিকে নজর দেব। বালুরঘাটের মুদি ব্যবসায়ী সুমন দাস, ভজন সরকার বলেন, রসুনের পেস্ট আগে সেভাবে বিক্রি হতো না। তবে এখন যেভাবে বিক্রি হচ্ছে তা ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছি। চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মহাজনের কাছে বেশি করে আরও প্যাকেটবন্দি রসুনের পেস্ট চেয়েছি যাতে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়।
কিছুদিন আগেই রসুন ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে বালুরঘাটের বাজারে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেই দাম বেড়ে ২০০-২৫০ টাকায় পৌঁছেছে। এর জেরে উৎসবের মরশুমে ক্রেতাদের মাথায় হাত পড়েছে। মাংস, ডিম থেকে মসুর ডাল, মাছের কালিয়া সহ একাধিক রান্না রসুন ছাড়া সম্ভব নয়। স্বাভাবিক কারণে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে কাটছাঁট করতে হচ্ছে। আগে গৃহিণীরা রান্নায় যে পরিমাণ রসুন ব্যবহার করতেন এখন সেই পরিমাণ রসুন ব্যবহার করছেন না। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে রসুনের পরিবর্তে তাঁরা পেস্ট ব্যবহার করছেন। দোকানগুলিতে আগে রসুনের পেস্ট সেভাবে বিক্রি হতো না। তবে হঠাৎ রসুনের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরাও হতবাক। রাঁধুনিদের দাবি, রান্নায় যেখানে ১০০ গ্রাম রসুন লাগে সেখানে পাঁচ টাকার এক প্যকেট রসুন পেস্ট দিলে কাজ হয়ে যাচ্ছে। তবে এতে তৈরি খাবারে সেই স্বাদ পাওয়া যায় না। রসুনের পাশাপাশি পেঁয়াজ, আদার দামও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। তবে রসুন পেস্ট থাকার কারণে কিছুটা হলেও আর্থিক দিক দিয়ে সুবিধা হয়েছে বলে সাধারণ ক্রেতারা জানিয়েছেন।