পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাঁশ ও কাগজ দিয়ে এই রাসচক্র নির্মাণ করা হয়। কোচবিহারের মহারাজার আমল থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। রাসমেলার সময় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী এই রাসচক্র ঘুরিয়ে পুণ্য অর্জন করেন। আগামী ১১ নভেম্বর রাত নয়টায় এই রাসচক্রের পুজো হবে বলে মদনমোহন বাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে, কোচবিহার পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাসমেলার মাঠে মেলা উপলক্ষে যে সমস্ত দোকানপাট বসবে সেগুলির জায়গা ভাগ করে দেওয়ার কাজ কালীপুজোর পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে।
কোচবিহার মদনমোহন বাড়ির কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, রাসচক্র তৈরির কাজ লক্ষ্মীপূর্ণিমার দিন থেকে শুরু হয়। আগামী রাস পূর্ণিমার দিন ওই রাসচক্রের পুজো হবে। আলতাফ মিঁয়া বংশ পরম্পরায় ওই রাসচক্র তৈরি করেন। এই এক মাস খালি আলতাফ নয়, তাঁর পুরো পরিবার নিরামিষ আহার করেন। রাসমেলার আগের দিন তিনি রাসচক্র আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। রাস মেলায় যাঁরা আসেন তাঁরা প্রায় সকলেই এই রাসচক্র ঘোরান।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের ভূষণ সিং বলেন, এর আগে আমরা রাসমেলা পরিচালন কমিটি তৈরি করেছি। এবার কালীপুজো মিটলেই রাসমেলা মাঠে দোকানের জায়গা বিলি করা হবে।
কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলায় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। মদনমোহন বাড়ি সংলগ্ন রাসমেলার মাঠে এই মেলা বসে। এই মেলাতেই রাসচক্র ঘোরানোর রীতি রয়েছে। সেই রাসচক্রটিই তৈরির কাজ এদিন থেকে শুরু হয়েছে। অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে এক মাস ধরে আলতাফ মিঁয়ার বাড়িতেই রাসচক্র তৈরি হয়। ওই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এটি তৈরির কাজে সহায়তা করেন। আটকোণা এই রাসচক্রে সুক্ষ্ম কারুকার্য থাকে। বাঁশ ও কাগজ দিয়ে এই কারুকার্য করা হয়।
রাসমেলা উপলক্ষে রাসমেলার বিরাট মাঠে প্রচুর সংখ্যক দোকানপাট বসে। আশপাশের রাস্তার ধারেও প্রচুর দোকান বসে। শুধু মাত্র কোচবিহার নয়, আশপাশের জেলা ও ভিনরাজ্য থেকেও এই রাসমেলায় বহু মানুষ আসেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য পর্যাপ্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থাও থাকে।