পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আপার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান কংগ্রেসের সঞ্জয় মাহাতো বলেন, এদিন সুভাষের মৃতদেহকে সঙ্গে নিয়ে হাজার হাজার মানুষ বাইকে মিছিল করে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ব্যাঙডুবি ১৫৮ বেসড হাসপাতালে যায়। এদিন সেখানেই তাঁর দেহ রাখা থাকবে। সোমবার সকাল ৮ নাগাদ সুভাষের মৃতদেহ প্রথমে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে পানিঘাটা মোড়ে শহিদের মৃতদেহ রেখে শ্রদ্ধা জানানো হবে। তারপর বাগডোগরার হরেকৃষ্ণপল্লির পেছনে শ্মশানঘাটে সুভাষের শেষকৃত্য করা হবে।
এদিন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি, শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার, রাজ্যসভার সংসদ সদস্য শান্তা ছেত্রী সহ সেনাবাহিনীর একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। তবে এদিন সুভাষের পরিবারের কেউ বিমানবন্দরে যাননি। শনিবার থেকে সুভাষের মা পদমা থাপা ব্যাঙডুবি বেসড হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তিনি ছেলের মৃতদেহ দেখতে যেতে পারেননি।
সুভাষের খুড়তুতো ভাই রাহুল থাপা বাগডোগরা সুখমায়া স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র। সুভাষের বাড়িতে থেকেই সে পড়াশুনা করছে। রাহুল জানায়, পাড়া ও প্রতিবেশীদের কথা শুনে ও ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে আমরা কেউ বাগডোগরা বিমানবন্দরে যাইনি। বাগডোগরা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক অখিলেশ দুবে জানান, সুভাষকে শ্রদ্ধা জানাতে সোমবার এলাকার সমস্ত ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখবেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গোলাগুলি ছুড়তে থাকে পাক সেনারা। সেই সময়ে পাক সেনার একটি গ্রেনেড বাঙ্কারের সামনে এসে পড়ে। স্ল্পিন্টারের ৩-৪টি টুকরো সুভাষ থাপাকে গুরুতর জখম করে। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় জম্মুর উদমপুর মিলিটারি কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিন মন্ত্রী গৌতম দেব ও সভাধিপতি তাপস সরকার জানান, সুভাষের মৃত্যু বিফল যাবে না। তাঁর আত্মত্যাগকে দেশ ও জাতি স্মরণে রাখবে।