কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চলতি মাসের শুরুতে গান্ধী জয়ন্তী থেকেই ছুটি ছুটি রব ছিল পুরসভায়। আগামী বুধবার পুজোর পরে ফের অফিস খুলবে। ইতিমধ্যে কয়েকদিনের বৃষ্টিতেই জল জমে গিয়েছে পুরসভা চত্বরে ফেলে রাখা ডাস্টবিনগুলিতে। নজরদারির অভাবেই সেগুলি মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। তাই ডেঙ্গু নিয়ে প্রচার চালালেও পুরসভা বিষয়টি নিয়ে মোটেই সচেতন নয়, এমন অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এপর্যন্ত জলপাইগুড়ি শহরে ১০জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর।
জলপাইগুড়ি পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের কাউন্সিলার পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, শহরের ওয়ার্ডগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাস্টবিন নেই। রাস্তাঘাটে ডাস্টবিন না থাকায় শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। দেড় বছর ধরে ডাস্টবিনগুলি প্রয়াস হলের সামনে ফেলে রেখেছে পুরসভা। বৃষ্টির জল জমে এখন মশার আঁতুরঘরে পরিণত হয়েছে ডাস্টবিনগুলি। বৃষ্টির জল জমানো যাবে না সহ ডেঙ্গু রোধে একাধিক সচেতনতামূলক বার্তা দিয়ে শহরজুড়ে ফ্লেক্স লাগাচ্ছে পুরসভা। কিন্তু এগুলি শুধু আলঙ্কারিক প্রচার। পুরসভা চত্বরে পুরসভারই ডাস্টবিনে জল জমে রয়েছে, সেদিকে কারও নজর নেই কেন?
জলপাইগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের কাউন্সিলার প্রদীপ দে বলেন, এই পুরবোর্ড সর্বস্তরে ব্যর্থ। ডাস্টবিনগুলি দীর্ঘদিন ধরেই ফেলে রেখে মশা, ব্যাং, পোকামাকড়ের থাকার জায়গা বানিয়ে রেখেছে। কেন ডাস্টবিনগুলি বিতরণ করছে না, সেটাই তো বুঝতে পারছি না! বিজেপি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি গোস্বামী বলেন, পুরসভার কোথাও জল জমল কি না তা দেখার জন্য পুরসভার চেয়ারম্যানের সময় কোথায়? ডেঙ্গুর প্রচারে পুরসভা উদাসীন।
তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, প্রয়োজন মত ডাস্টবিনগুলি বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হচ্ছে। এখন তো বৃষ্টি নেই, তাই আর জল জমে থাকবে না। ডেঙ্গু রোধে জোর প্রচার চালানো হচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, এপর্যন্ত জলপাইগুড়ি শহরে ১০ জনের রক্তে ডেঙ্গুর নমুনা পাওয়া গিয়েছে। যাতে কোথাও জল জমে না থাকে সেজন্য জোর প্রচার চালানো হচ্ছে।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় জেলাজুড়ে সচেতনতা অভিযান চালানো হচ্ছে। কোনও কনস্ট্রাকশন সাইট বা অন্য কোথাও জল জমে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃষ্টির জমা জলেই ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশার আঁতুড়ঘর। পরিষ্কার জমা জলে দ্রুত বৃদ্ধি পায় সেই মশার লার্ভা। তাই বৃষ্টির জল যাতে কোথাও জমে থাকতে না পারে তার জন্য জোর প্রচার চালাচ্ছে পুরসভা সহ প্রশাসন। কিন্তু পুরসভার প্রয়াস হলের সামনেই ভিন্ন চিত্র ধরা পড়েছে। প্রয়াস হলের সামনে পড়ে রয়েছে প্রায় দেড়শো ডাস্টবিন। সেই ডাস্টবিনগুলি বৃষ্টির জলে পূর্ণ হয়ে রয়েছে। দুর্গা পুজোর আগে টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে শহরে। সেই বৃষ্টিতেই ডাস্টবিনগুলি জলে ভরে গিয়েছে। তারপর থেকে ওভাবেই পড়ে রয়েছে। ডাস্টবিনের জমা জল খেয়ালও করেনি কেউ। জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ওই প্রয়াস হলঘরেই হয়। সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠান করতে গিয়ে উদ্যোক্তা আর দর্শকদের মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হতে হয়। এতে ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও পুরসভার দাবি, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়াতে জল কমছে ডাস্টবিনগুলিতে।