পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি তথা প্রাক্তন সংসদ সদস্য পার্থপ্রতিম রায় বলেন, জেলায় বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিতে আগামী ২১ অক্টোবর দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির আসার কথা রয়েছে। এর আগে আমরা সাতটি বিধানসভা এলাকার ওয়ার্কিং কমিটি ঘোষণা করেছি। আরও দু’টি ওয়ার্কিং কমিটিও দ্রুত ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি ব্লকে ব্লকেও বিজয়া সম্মিলনী, দিদিকে বলো কর্মসূচি ও এনআরসি নিয়ে আমরা আবার পথে নামব। এব্যাপারে দলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
গত কয়েক মাস ধরে কোচবিহার জেলাজুড়ে সমস্ত বিধানসভা এলাকাগুলিতে দিদিকে বলো কর্মসূচি পালন করে আসছিল কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব। বিশেষ করে বিধায়করা এই কর্মসূচি পালন করছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে কোচবিহার জেলায় দলের ব্লক কমিটি ছিল না। কিছুদিন আগেই দলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন জেলার নয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের ওয়ার্কিং কমিটি ঘোষণা করেছিলেন। কোচবিহার দক্ষিণ ও শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের কমিটি সেই সময় ঘোষণা করতে পারেনি দল। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে দলের ভরাডুবি হওয়ার পর তৎকালীন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে অপসারণ করা হয়েছিল। তাঁর জায়গায় বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে জেলা সভাপতি করা হয়েছিল। এসবের কারণে জেলার তৎকালীন ব্লক কমিটিগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল। ব্লক কমিটি গঠন হচ্ছিল না বলে দলের সাংগঠনিক কাজের ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা হচ্ছিল। এরপরেই পুজোর আগে দল বিধানসভা ভিত্তিক ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়। যে দুইটি কমিটি ঘোষণা করা বাকি ছিল, দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার খুব দ্রুতই ওই দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রের ওয়ার্কিং কমিটিও ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, দলের প্রায় সব বিধায়ককে দেখা গিয়েছে, দুর্গাপুজার সময়ে পুজো উদ্বোধন, পুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে জনসংযোগ সারতে। এরপরেই বিজয়া দশমী উপলক্ষে এলাকায় এলাকায় দলের কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন তাঁরা। এবার দলের রাজ্য সভাপতি জেলায় এসে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিলে তা আলাদা মাত্রা পাবে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুব্রত বক্সি জেলায় এলে স্থানীয় একটি অডিটোরিয়ামে ওই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হবে। সেখানে সম্প্রতি গঠিত বিধানসভা ভিত্তিক ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা ও দলীয় নেতৃত্বের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই জেলায় দলের পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছিল। কিন্তু গত কয়েক মাসে তৃণমূল কংগ্রেস জেলায় আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। অনেকগুলি গ্রাম পঞ্চায়েত তারা ঘরওয়াপসির মাধ্যমে পুনরায় দখল করে নিয়েছে। ফলে দলের অন্দরে আবার নতুন করে শক্তি সঞ্চয় হয়েছে। এবার পুজো শেষ। নতুন ওয়ার্কিং কমিটি নিয়ে দল আবার মাঠে নামলে দলের সংগঠন আবারও চাঙা হতে শুরু করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।