বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ক্লাব কর্তাদের দাবি, তাঁদের লক্ষ্মী পুজো জেলার সেরা। পুজোর দিন চাঁচল, ইংলিশবাজার সহ জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি বাইরের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর, বালুরঘাট থেকেও মানুষ সপরিবারে এই প্রতিমা দর্শন করতে আসে। এজন্য বাড়তি উৎসাহ নিয়ে প্রতিবছর আলাদা থিম করা হয়। এবছরে তাঁদের পুজোয় সাবেকিয়ানা ছেড়ে লক্ষ্মীদেবী কন্যাকুমারী দেবী রূপে আবির্ভূতা হয়েছেন। শনিবার রাতভর পুজোর শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলে জোর কদমে। আজ রবিবার রাতে দেবীর পুজো হবে।
২৫ মাথা দেবীলক্ষী গড়ার কারিগর মৃৎশিল্পী সুশীল পাল বলেন, এই ক্লাবের দেবী প্রতিমা প্রতিবছর আমিই বানাই। এই রকম মডেলের লক্ষ্মী প্রতিমা আগে জেলার কোথাও হয়নি। এবার এই প্রতিমা বানাতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এই পুজোয় প্রতিবছরই খুব ভিড় হয়। প্রতিমা দেখতে বাইরে থেকে অনেক দর্শনার্থীরা আসেন। সকলেই আয়োজনের তারিফ করেন। এতে বাড়তি উৎসাহ পাওয়া যায়। প্রতিমা সম্পূর্ণভাবে মাটি দিয়ে তৈরি হয়েছে। মহালয়ার আগে থেকেই প্রতিমা বানাতে শুরু করেছি। সারিবদ্ধভাবে প্রতিমার মাথার পাঁচটি ধাপ করা হয়েছে। তাতে উপর নীচ মিলিয়ে দেবীর ২৫টি মাথা, আর ৫০টি হাত রয়েছে। এই নতুন আঙ্গিকের প্রতিমা দেখে মানুষের মন ভরে যাবে।
আলাল চলো পাল্টাই ক্লাবের অন্যতম সদস্য পাপ্পু গুপ্ত বলেন, এবার আমাদের গ্রামের পুজো নয় বছরে পড়ল। প্রতিবছর পুজোয় আমরা নতুন কিছু উপহার দিই। এবারে আমাদের পুজোর বাজেট প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা। এই পুজো জেলার সেরা লক্ষীপুজো কোনও সন্দেহ নেই। এবার মা লক্ষ্মী থাকবেন পাহাড়ের গুহার মধ্যে কন্যাকুমারী রূপে। রবিবার রাতে পুজো হবে। দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে একাধিক বড়ো আলোকসজ্জা থাকছে।
ক্লাব সম্পাদক সুব্রত বর্মন বলেন, আমাদের এই পুজো দেখতে এই জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে প্ৰচুর মানুষ আসে। এখানে চারদিন মেলা বসে যায়। তারমধ্যেই নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনের চেষ্টা করা হয়। উদ্যোক্তারা জানান, তারা প্রতিবছর ঘটা করে লক্ষ্মীপুজো করে থাকেন। নানা আকর্ষণে তাদের পুজো জেলায় নাম কিনেছে। ২০১৫ সালে ৪২ ফুটের কোজাগরী প্রতিমা গড়ে জেলাবাসীর নজরে পড়ে যায় এই পুজো। পরের বছর ২০১৬ সালে পালকি করে মা লক্ষ্মীকে আনা হয়। ২০১৭ সালে লক্ষ্মী নারায়ণের বিয়ে দেখানো হয়েছিল। গত বছর শ্বশুর বাড়ি এসে মা লক্ষ্মীর আলপনা দেওয়ার থিম সকলকে আনন্দ দিয়েছিল। তাঁদের আশা এবছরও ২৫ মাথা, ৫০ হাতের লক্ষ্মীপ্রতিমা দর্শন টানবে।