বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুজো কমিটির সদস্য নান্টু বর্মন বলেন, আমাদের গ্রামের সব থেকে বড় উৎসব হল লক্ষ্মীপুজো। এই পূজাকে ঘিরে আমাদের গ্রামে যথেষ্ট নিষ্ঠাভরে কাজ করেন গৃহবধূরা। দশমীর পর থেকে আমাদের গ্রামে নিরামিষ ভোজন করেন গ্রামবাসীরা। চাষ করতে গিয়ে আমরা এই মূর্তিটি পেয়েছিলাম। তারপর থেকেই এখানে মন্দির প্রতিষ্ঠা করে আমরা পুজোর আয়োজন করি। পুজোকে কেন্দ্র করে বাউল গান ও মেলার আসর বসে।
বাসিন্দারা জানান, ২১ বছর আগে লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে গ্রামে বাউল উৎসব চলছিল। সেসময় কৃষক নরেশ চন্দ্র বর্মন স্থানীয় গোকুল চন্দ্র বর্মনের জমিতে লাঙল দিচ্ছিলেন। সেসময় নরেশবাবুর লাঙলের ফলায় আটকে যায় একটি পাথর। সঙ্গে সঙ্গে তিনি কোদাল দিয়ে পাথরটি তোলেন। পাথরটি জল দিয়ে পরিষ্কার করলে দেখা যায় কালো পাথরে খোদাই করা লক্ষ্মী নারায়ণের মূর্তি। মূর্তি পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেই গ্রাম থেকে এমনকী দূরদূরান্ত থেকে কয়েক হাজার লোক হাজির হয়ে যায় ওই মাঠে। এরপর পূর্ব ভাণ্ডার গ্রামের বাসিন্দারা মূর্তিটিকে তাঁদের গ্রামে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিয়ে আসে। খবর পেয়ে কালিয়াগঞ্জ থানা, জেলা প্রশাসন ও প্রত্নতাত্ত্বিকরা ছুটে আসেন। মূর্তিটি লম্বায় দেড় ফুট এবং চওড়ায় এক ফুট। প্রশাসনের তরফ থেকে মূর্তিটিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করা হলে গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ে প্রশাসনকে খালি হাতে ফিরতে হয়। এরপর পূর্ব ভাণ্ডার গ্রামের বাসিন্দারা একটি মন্দির বানিয়ে মূর্তিটির পূজো শুরু করেন। সারা বছর নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে দু’বেলা করে পুজো হলেও কোজাগরী লক্ষ্মী পূজোর দিনটিতে সাড়ম্বরে পূজোর আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর লক্ষ্মীপুজোর দিন গ্রামের মহিলারা উপোস থেকে বাড়ির লক্ষ্মীপুজো সেরে সন্ধ্যার মধ্যে লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে হাজির হন। কারণ মন্দিরে পুজো না দিলে তাঁদের পুজো সম্পন্ন হয় না।