বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, জেলা পরিষদের আওতায় থাকা মালদহের ২০টি নদীঘাটের জন্য এদিন প্রায় ৬০০ টি লাইফ জ্যাকেট এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রী বিনামূল্যে ঘাট মালিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। লাইফ জ্যাকেট ছাড়া যাত্রী পরিবহণ করলে ঘাট মালিক এবং মাঝির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিডিও সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘাট পরিদর্শন (সারপ্রাইজ ভিজিট) করবেন। ঘাট নিলাম নেওয়ার পর মালিকরা কমিশনের ভিত্তিতে মাঝিদের তা ইজারায় দিয়ে দেন। এটা চলবে না। ঘাটের সাবলিজ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। মালিককেই ঘাট চালাতে হবে। নৌকোর বহন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী চাপালে ঘাটের লিজ বাতিল করে দেওয়া হবে বলে অরুণবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এদিন পুরাতন মালদহের নিমাইসরাই ঘাটে লাইফ জ্যাকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলাশাসক ছাড়াও জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ সরলা মুর্মু, ডেপুটি সেক্রেটারি ঋতম ঝা, স্থানীয় বিডিও ইরফান হাবিব, মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের অনুষ্ঠানে নিমাইসরাই ঘাটের মাঝি রাম মাহাতো বলেন, অনেক সময় নেশাগ্রস্থ অবস্থায় জোর করে অনেকে নৌকোয় উঠে পড়েন। তাঁরা কোনও নিষেধ মানেন না। উল্টে আমাদের ধমক দেন। ফলে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নৌকো চালাতে হয়। বিষয়টি শুনে অতিরিক্ত জেলাশাসক পুলিসকে সমস্যার কথা জানানোর নির্দেশ দেন। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে স্থানীয় পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন অথবা থানায় তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করার ব্যাপারে তিনি বলেন।
অন্যদিকে, মহানন্দা নদীতে ডুবে যাওয়া নৌকোটি চাঁচল-১ ব্লকের জগন্নাথপুর ঘাট থেকে রওনা দিয়েছিল। এদিন ওই ব্লকেও লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করা হয়। বিডিও অফিসে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আশাপুর এলাকার ডোমরাইল ঘাটের মাঝি ও মালিককে পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতো এদিন আমরা যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেট বিলি করেছি। রাতে জলপথে পরিবহণ বন্ধ সহ অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে বলবৎ করা হবে। জগন্নাথপুর ঘাট বর্তমানে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌকো চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁচল ও বৈষ্ণবনগরে পরপর নৌকোডুবি নিয়ে মালদহ জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। উপর্যুপরি দুটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপরমহলের চাপে প্রশাসনের কর্তাদের রাতের ঘুম কার্যত উড়ে যায়। জেলা প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এতদিন জেলার বেশ কিছু ঘাটে বিনা অনুমতিতে যাত্রী পরিবহণ চলছিল। নৌকোডুবির পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তড়িঘড়ি করে প্রশাসনের আধিকারিকরা ওইসব ঘাটে নৌকো চলাচল বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় থাকা ঘাটে যাত্রীসুরক্ষার দিকটি খতিয়ে দেখা হয়। রাতের অন্ধকারে যাত্রী পরিবহণের উপরও নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়।