পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো শেষে মা দুর্গা কৈলাস ফিরে গিয়েছেন। দশমী থেকেই সকলের মন বিষন্নতায় আচ্ছন্ন। যে রাস্তাগুলোয় কয়েকদিন আগেও ভিড় উপচে পড়েছিল, এখন সেসব রাস্তাই যেন শুনশান। তবে বৃহস্পতিবার এই শোভাযাত্রা ও ক্লাবগুলির নিরঞ্জন দেখতে ফের ময়নাগুড়ি সদর এলাকায় যেন লাগল শারদীয়া উৎসবের ছোঁয়াচ। ময়নাগুড়ি ব্লক ও পুলিস প্রশাসনের উদ্যোগে এবং খাগড়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার প্রতিমা নিরঞ্জনের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ময়নাগুড়ির জর্দা নদীতে শোভাযাত্রা করে প্রতিমা নিরঞ্জন করেন পুজো উদ্যোক্তারা। প্রায় দশটি প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে এদিন। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় নদী ঘাট বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। ময়নাগুড়ির পুরাতন বাজার ও জর্দা নদীর সেতুতে প্রচুর সংখ্যক পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। ময়নাগুড়ি পুলিসের পক্ষ থেকে সবকিছু দেখাভাল করেন ডিএসপি ক্রাইম বিক্রমজিৎ লামা ও ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস। বাস টার্মিনাস এলাকায় লোকের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা ছিল না। যানজট সামলাতে যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস বলেন, বৃহস্পতিবার সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল।
প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা নিয়েও বিভিন্ন পুরষ্কার দেওয়া হবে পুজো উদ্যোক্তাদের। পুলিস প্রশাসন, বার্নিশ কো অপারেটিভ ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে দেওয়া হবে এই পুরষ্কারগুলি। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে যথাক্রমে ১০, সাত ও পাঁচ হাজার টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে। পুলিসের তরফ থেকে দেওয়া হবে ট্রফি ও বার্নিশ কো অপারেটিভ দেবে ট্রফি ও নগদ পুরষ্কার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় এই নিরঞ্জন। আলোর রোশনাইয়ে উজ্জল হয়ে ওঠে চারিদিক। প্রত্যেকটি পুজো উদ্যোক্তা ক্লাবগুলি তাদের শোভাযাত্রায় নিজেদের সেরাটা তুলে ধরার চেষ্টা করে। গানের তালে, ঢোলের তালে নাচ, মুখোশ পড়ে অভিনয়—দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনে চেষ্টার খামতি রাখেনি কোনও ক্লাব। ময়নাগুড়ির বাসিন্দা অভিরূপ বসাক জানান, প্রতিবার পুজোর সময় আনন্দ হয় আর পুজো শেষ হয়ে গেলে মনখারাপ হয়। কিন্তু নিরঞ্জনের এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে আমরা আবার আনন্দে মেতে উঠি। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হয়েছে বিসর্জনকে কেন্দ্র করে এই শোভাযাত্রার আয়োজন।