গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এবার পুজোর প্রায় এক মাস আগেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দেয় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস কমিশনারেট। তারা বিভিন্ন পুজো কমিটির সঙ্গে কমিশনারেট এবং থানা পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠক করে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত সহ বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপগুলি সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়। শহরে মোতায়েন করা হয় প্রায় ৪০০ জন স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়া ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারদের নেতৃত্বে থানা স্তরে বিশেষ পেট্রোলিং বাহিনী ও সাদা পোশাকের মহিলা বাহিনী গড়া হয়।
এই পুলিস কমিশনারেটের অধীনে দু’টি জোন আছে। একটি শিলিগুড়ি পূর্ব, অপরটি শিলিগুড়ি পশ্চিম জোন। দুই জোনে একজন করে ডিসিপি রয়েছেন। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত দুই জোনে ধৃতের সংখ্যা প্রায় ২১৩ জন। এরমধ্যে পশ্চিম জোনে ধৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ১১৮ জন। বাগডোগরা থানায় ৫৪ জন, প্রধাননগর থানায় ৪৭ জন এবং মাটিগাড়া থানায় ১৭ জন ধরা পড়েছে। পূর্ব জোনে ধরা পড়েছে প্রায় ৯৫ জন। ভক্তিনগর থানায় ২০ জন, শিলিগুড়ি থানার অন্তর্গত খালপাড়া ফাঁড়িতে ১৫ জন, পানিট্যাঙ্কি ফাড়িতে পাঁচজন, ভক্তিনগর থানার অন্তর্গত আশিঘর ফাঁড়িতে ২৫ জন এবং এনজেপি থানার অন্তর্গত মিলনপল্লি ফাঁড়িতে ৩০ জন ধরা পড়েছে। ধৃতদের অধিকাংশই যুবক। কয়েকজনকে মদ খেয়ে হই হট্টগোল করার অভিযোগে, কয়েকজনকে পকেটমারি ও ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইভটিজিং করার অভিযোগেও কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। তবে, শিলিগুড়ি ও এনজেপি থানা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা জানাতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট দু’টি থানা এলাকায় বিসর্জনের শোভাযাত্রা ঘিরে দু’টি গোলমালের ঘটনাও ঘটেছে। কাজেই, শহরের পূর্ব জোনে ধৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কালীপুজো ও ছটে নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশনারেটের পুলিস অফিসারদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, দুর্গাপুজোয় শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কয়েকটি স্তরে ভাগ করা হয়েছিল। তাতেই চুরি, ছিনতাই, পকেটমারি, ইভটিজিং এড়ানো সম্ভব হয়েছে। উল্লেখযোগ্য গোলমালের ঘটনা ঘটেনি। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার(পশ্চিম) অতুল ভি বলেন, সর্বস্তরের পুলিস অফিসার, কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের সহযোগিতায় শহরের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে। কালীপুজোতেও এধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধাননগর থানায় পুজোর সময় একটি মাত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।
তবে, শিলিগুড়ি থানার অন্তর্গত বিভিন্ন অলিগলিতে পুজোর ক’দিন দিনভর বাইক বাহিনী দাপিয়ে বেড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নজরদারির অভাবেই যুবকরা বাইক নিয়ে বেপরোয়াভাবে দাপিয়ে বেরিয়েছে। ডেপুটি পুলিস কমিশনার(ট্রাফিক) ডাম্বার সিং সোনার অবশ্য বলেন, বেপরোয়াভাবে বাইক সহ যানবাহন চালানোর অভিযোগে কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।