গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, দুষ্কৃতীরা বর্তমানে স্যোশাল মিডিয়ায় নজরদারি চালায়। কে কখন বাড়ি ছেড়ে বাইরে বেড়াতে যাচ্ছে তা লক্ষ্য করে। সেইমতো তারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতে চুরি বা ডাকাতির ছক কষে। ফলে বাড়ি ফাঁকা রেখে সপরিবারে বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টি স্যোশাল মিডিয়ায় না জানানোর জন্য জেলাবাসীর কাছে অনুরোধ করছি। আমরা থানাগুলিকে সতর্ক করেছি। থানা থেকেও এব্যাপারে এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে নিজেকে বন্ধু এবং আত্মীয় পরিজনদের সামনে তুলে ধরতে অনেকেই স্যোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করেন। ফেসবুক, ট্যুইটার, হোয়াটস অ্যাপের মতো জনপ্রিয় স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে অ্যাকাউন্ট নেই এমন লোক খুব কমই আছেন। সারাবছর নিজের কর্মকাণ্ড, অনুভূতি, রাজনৈতিক মতামত প্রভৃতি ব্যক্ত করতে স্যোশাল মিডিয়াকেই বহু মানুষ হাতিয়ার করেন। সেইসঙ্গে সামাজিক বা পারিবারিক অনুষ্ঠান সম্পর্কেও তাঁরা ওই সব সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দিতে থাকেন। এরই পাশাপাশি ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয়ে অনেকে স্যোশাল মিডিয়ায় নিজেদের তুলে ধরেন। বেড়ানোর সময় নৈসর্গিক দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করার পর মুহূর্তে তা স্যোশাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেন। নিজেদের অবস্থানও তাঁরা স্যোশাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেন। অনেকে আবার বাড়ি থেকে রওনা হওয়ার আগেই স্যোশাল মিডিয়ায় তা শেয়ার করেন। রেল স্টেশন বা বিমান বন্দর থেকে সেলফি তুলে তা বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন বা পরিচিতদের কাছে ছডিয়ে দেন। এবিষয়েই পুলিস সকলকে সতর্ক থাকতে বলছে।
পুলিস আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা ভুয়ো নাম পরিচয় দিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খোলে। তারা নিজ নিজ এলাকার স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের কাছে বন্ধুত্ব পাতানোর বার্তা পাঠায়। অনেকেই সাতপাঁচ না ভেবে তাতে সাড়া দেন। এতেই দুষ্কৃতীদের অর্ধেক কাজ সাড়া হয়ে যায়। তারপর থেকে দুষ্কৃতীরা নিয়মিত বন্ধুদের ওয়ালে নজরদারি চালাতে থাকে। কেউ বাইরে বেড়াত যাচ্ছে এই তথ্য জানতে পারলেই নজরদারি শুরু হয়ে যায়। তারপর সুযোগ বুঝে অপারেশন চালায়।
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, এই ধরনের চুরি-ডাকাতি সাধারণত শহরাঞ্চলে বেশি লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে অনেকেই পাশের বাড়ির খোঁজ রাখেন না। ফলে বাড়ি ফাঁকা থাকলেও সেদিকে প্রতিবেশীরা লক্ষ্য রাখে না। দুষ্কৃতীরা সেই সুযোগও নিয়ে থাকে। তবে গ্রামাঞ্চলেও একই কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটছে। চুরির সময় বাড়িতে কেউ না থাকার ফলে ঘটনার কিনার করতে আমাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। তাই বেড়াতে গিয়ে বা যাওয়ার আগে কেউ যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য না দেন সেব্যাপারে আমরা স্যোশাল মিডিয়াতেও প্রচার করছি। থানার আধিকারিকরা স্যোশাল মিডিয়ার গ্রুপে এই সংক্রান্ত সচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।