কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, কয়েকটি ব্লকে ব্লক সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে। বাকি ব্লকগুলিতে শীঘ্রই সভাপতি নির্বাচন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের আগের কমিটির সভাপতি দধিমোহন সিংহ বলেন, কানাইয়াবাবু নতুন করে আমাকে কোনও দায়িত্ব দেননি। আমরা আগের কমিটিই দলের সমস্ত কর্মসূচি করছি। করণদিঘির বিধায়ক মনদেব সিনহা বলেন, করণদিঘিতে ব্লক সভাপতি আছে কি না তা আমি বলতে পারছি না। জেলা সভাপতিই বলতে পারবেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুর, চোপড়া ও গোয়ালপোখর ব্লকে সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে। তারমধ্যে ইসলামপুরে ব্লক সভাপতি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কানাইয়াবাবু একজনকে ব্লক সভাপতি হিসেবে নিযোগপত্র দিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী অন্য একজনকে ব্লক সভাপতি করেছেন। ফলে ইসলামপুরে দলের দু’জন সভাপতি হয়েছেন। করণদিঘি, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ ও ইটাহারে ব্লকে নতুন করে ব্লক কমিটি তৈরি হয়নি। করণিদিঘিতে বিধায়ক ও আগের কমিটির সভাপতি সুভাষ সিংহের মধ্যে তুমুল গোষ্ঠী কাজিয়া ছিল। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোনও একজনকে নতুন করে সভাপতি করা হলে ফের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসবে বলে দাবি দলেরই একাংশের।
কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক কংগ্রেসের প্রমথনাথ রায় সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন। সেজন্য আসনটিতে উপনির্বাচন হবে। লোকসভা নির্বাচনে কালিয়গঞ্জ থেকে বিজেপি উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়েছিল। কংগ্রেস ও বিজেপি আসনটি নিজেদের দখলে নিতে এখন থেকেই প্রস্ততি শুরু করেছে। কিন্তু তৃণমূলের প্রস্তুতি এখনও চোখে পড়ছে না। দলের একাংশের দাবি, নতুন কমিটি গঠন করা না হলে আগের সভাপতিদেরকেই ফের নিযোগপত্র দিয়ে সংগঠনকে চাঙা করা উচিত।
রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনে মোদি হাওয়া ও তৃণমূল বিরোধিতার কারণে বিজেপি বিপুল ভোট পেয়েছিল। তৃণমূলের শোচনীয় ফলাফলে দলের একাংশ নেতা-কর্মীর মনোবলও কমেছে। রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, করণদিঘি ব্লকে বিজেপির ভোট উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই ব্লকগুলিতে সংগঠনকে মজবুত করতে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ব্লক কমিটি না থাকায় সাংগঠনিক কাজে জোর আসছে না। স্থানীয় স্তরে নেতৃত্ব দিতে কেউ এগিয়ে আসছেন না। এতে দলের কর্মীরাও উৎসাহ হারাচ্ছেন। নতুন ব্লক সভাপতির পদ কে পাচ্ছেন তা নিয়েও দলে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, ব্লকে ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল আছে। এটা দলের বড় সাংগঠনিক সমস্যা। এজন্য এমন কাউকে সভাপতি করতে হবে যাতে দুই গোষ্ঠীতেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা থাকে। কিন্তু এমন নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়াই কানাইয়াবাবুর কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।