কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুড়াটুলি সর্বজনীন দুর্গোৎসব জেলা সদরের অন্যতম প্রাচীন পুজো। পারিবারিকভাবে শুরু হওয়া এই পুজো এখনও বারোয়ারি বা সর্বজনীন হয়ে উঠেছে। যে মন্দিরে মা দুর্গার পুজো হয় তার জমি বিপ্র পরিবারের সদস্যরাই দান করেছেন বলেন জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এবার এই পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জনে একই সঙ্গে হাত ও কাঁধ মেলাতে দেখা গিয়েছে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য কৌশিক মিশ্র (সাহেব), বিজেপি’র জেলা সহ সভাপতি তথা গণমাধ্যম সংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অজয় গঙ্গোপাধ্যায়কে। স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদেরও দেখা গিয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে।
রাজনীতির কচকচি থেকে দূরত্ব রেখে এই নেতা-সমর্থকদের পুজোর চারদিন একসঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দিতেও দেখা গিয়েছে। তাতে উঠে এসেছে কোন পুজো এবার অনেকটা এগিয়ে অথবা কোন পুজোর প্যান্ডেলে এবার ভিড় হয়েছে সব চেয়ে বেশি। পাশাপাশি পরস্পরের ঘোর বিরোধী এই সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ব্যস্ত থেকেছেন পাড়ার কালীপুজো কতটা জমকালো করে তোলা যায় তার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনাতেও।
এরমধ্যে অবশ্য কোনও ভ্রান্তি দেখছেন না ছাত্রাবস্থা থেকেই সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত কৌশিকবাবু। তিনি বলেন, আমাদের দল মানুষের সঙ্গে থাকার শিক্ষা দিয়েছে। দুর্গা পুজো মানুষের ভাবাবেগের সঙ্গে যুক্ত। তাই সবার সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে এই পুজোর শরিক হয়েছি। পাড়ার বন্ধু বা অন্যান্য অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু তাঁরাও একইভাবে এই পুজোয় অংশ নিয়েছেন। তাই একসঙ্গে পুজোর বোধন থেকে নিরঞ্জনে আমরা সকলে শামিল হয়েছি।
প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন জেলা বিজেপি’র অন্যতম পরিচিত মুখ অজয়বাবুও। তিনি বলেন, আমরা ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ঠিকই। তবে আমরা একই সঙ্গে পাড়ার পুজোর সঙ্গেও যুক্ত। দু’টি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। দুর্গা পুজোর সুর ঐক্যের ও মিলনের। তাই যিনি যে দলের পক্ষেই থাকুন না কেন, পুজোর আয়োজন থেকে নিরঞ্জন সবই আমরা যৌথভাবেই করি। এই পুজোতে সক্রিয় উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের অনেক পুরানো কর্মীই। তাঁরাও একযোগে জানালেন, রাজনৈতিক মত পার্থক্যের কোনও প্রভাবই পড়ে না ঐতিহ্যশালী এই পুজোতে। সকলেই মিলেমিশে আনন্দ করে। একই ভাবে কালীপুজোও হয়।
উল্লেখ্য, মহাষ্টমীর দিন মালদহ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে কুমারী পুজো একযোগে দেখেন কংগ্রেস সাংসদ ডালুবাবু, বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর।