বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
এবারে পুজোর বুকিং চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তরবঙ্গে আসার ট্রেনের টিকিট অমিল হয়ে পড়ে। পাহাড়ের সমস্ত হোটেল এমনকি হোম স্টেও আগে থেকেই বুকিং হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি বা ধুপঝোরাতে সেভাবে পর্যটকদের দেখা মেলেনি। গত বছরই কিন্তু পর্যটকের ঢল নেমেছিল ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি ও ধুপঝোরাতে। তবে এবার পর্যটন ব্যবসায়ীদের হতাশ করেছেন পর্যটকরা। পর্যটন সংক্রান্ত নানা সমস্যা যদি না মেটানো যায় তাহলে আগামী দিনে এই এলাকায় একেবারে পর্যটকশূন্য হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
গোরুমারা টুরিজম ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক সোনা সরকার বলেন, এবারে আমাদের এখানে ভিড় একেবারেই কম ছিল। গতবার যে সংখ্যক পর্যটক এসেছিলেন এবছর তার তুলনায় অর্ধেকেরও কম পর্যটক এসেছিলেন এখানে। আমরা আশা করেছিলাম, এবার বোধহয় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। কিন্তু তা তো হলই না, বরং সেই সংখ্যা অনেক কমে গেল।
লাটাগুড়ি রিসর্টস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, এবার উত্তরবঙ্গে আসার ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু আমাদের এখানে পর্যটকরা এলেনই না। সমস্ত পর্যটক এবার পাহাড়ে চলে গিয়েছেন। আমরা দেখেছি, ডুয়ার্সে পর্যটন কেন্দ্রগুলির কথা ভিনরাজ্যের পর্যটকরা জানেনই না। এছাড়া ডুয়ার্স সংলগ্ন সামসিতে পর্যটকদের জন্য ভুটানের যাওয়ার পারমিট সেন্টার নেই। গোরুমারার টিকিটের দাম বেড়ে যাওয়া সহ নানা কারণে এবার ডুয়ার্সমুখী হননি পর্যটকরা। এই সমস্যাগুলি যদি না মেটানো যায় তাহলে আগামীদিনে পর্যটন ব্যবসা বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
লাটাগুড়ি ও ধুপঝোরাতে গোরুমারার জঙ্গল সাফারিকে কেন্দ্র করে পর্যটন ব্যবসা চলে। টিকিট কেটে সাফারিতে জঙ্গলে যান পর্যটকরা। সেখানে গন্ডার, হাতি, বাইসন, হরিণ সহ নানা জীবজন্তু দেখার সম্ভাবনা থাকে। দু’বছর আগেও একটি গাড়িতে ছয়জন করে গেলে টিকিট কেটে গাড়ি ভাড়া সহ মোট খরচ পড়ত ১৫০০ টাকা। সেই খরচ বেড়ে গিয়ে গত বছর থেকে হয়েছে তিন হাজার টাকা। পাশেই ভুটান রয়েছে। কিন্তু পর্যটকেরা চাইলেও সহজে যেতে পারেন না। কারণ সামসিতে ভুটানে বেড়াতে যাওয়ার পারমিট সেন্টার নেই। তাই নিরাশ হতে হয় পর্যটকদের। এছাড়াও ভিনরাজ্যের খুব কম সংখ্যক পর্যটকই এখানে আসেন। কারণ ডুয়ার্স নিয়ে ভিনরাজ্যে প্রচারের অভাব রয়েছে।
এদিকে ডুয়ার্সের সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র দেখা গিয়েছে পাহাড়ে। কালিম্পং এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সদস্য তথা রিষপের একটি হোম স্টের মালিক বিমল গুরুং বলেন, এবারে আমাদের এখানে যত হোম স্টে ও হোটেল রয়েছে, পুজোর দিনগুলিতে সব ভর্তি ছিল। এতটা ভিড় যে হতে পারে তা আশা করিনি।