গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলা কৃষিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর বিপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, চলতি বছর আমন চাষ মারাত্মক সমস্যার মুখে পড়েছিল। তবে পুজোর আগে ক’দিনে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ায় আমন চাষে সংকট কেটে গিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এবার আমনের ফলন ভালোই হবে। শীতকালীন ফসল চাষেও সেচের সংকট হবে না।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় চাষিদের প্রধান চাষ আমন ধান। প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষিরা এবছর আমন ধান লাগালেও সেই চাষের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। বহু চাষি জুন-জুলাই মাসে পাম্পসেট চালিয়ে ধান রুইতে পারলেও পরবর্তীতে জমি শুকিয়ে যাওয়ায় গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। অনেক জমিতে জল না থাকায় আগাছায় মুড়ে যায়। এর ফলে ১৫ শতাংশ জমির ফসল আগস্ট মাসের শেষদিকে এসেও প্রায় নষ্ট হতে বসেছিল। যদিও পুজোর মুখে কদিনের বৃষ্টিতে জমিতে জল জমে যাওয়ায় সেই উদ্বেগ কেটে গিয়েছে। মূলত, জুন ও জুলাই মাসের বৃষ্টির উপর নির্ভর করে আমন চাষ করেন জেলার চাষিরা। এবছর চাষের শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিতে চাষ করায় চাষের খরচ অনেকটাই বেড়ে যায়। পরবর্তীতেও কয়েক সপ্তাহ অনাবৃষ্টিতে মাঠ শুকিয়ে গিয়ে অনেক উঁচু জমির ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছিল। আমনের ক্ষতির পাশাপাশি শীতকালীন ফসলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চাষিরা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। আগস্টের শেষে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের ঘাটতির পরিমাণ ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ জলও হুহু করে নেমে যাচ্ছিল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আমনের জমিতে চার ইঞ্চি জল জমে না থাকলে ফলন ভালো হয় না। আগস্ট মাস পর্যন্ত অধিকাংশ আমনের জমিতে সেই পরিমাণ জল ছিল না। পুজোর আগে নিম্নচাপের ফলে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নীচু এলাকার পাশাপাশি উঁচু জমিতেও জল জমে গিয়েছিল। ফলে আগাছা নিড়ানি দিয়ে তুলে ফেলা সহ দেরিতে লাগানো অনেক জমির ফসল ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কৃষিদপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, এরপর প্রাকৃতিক কোনও বিপর্যয় না হলে আমনের ফলন এবছরও ভালোই হবে। একই সঙ্গে শীতকালীন ফসল চাষ নিয়ে উদ্বেগ কেটে গিয়েছে। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি পুজো উদ্যোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছিল। তবে ভালো বৃষ্টি হওয়ায় কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা স্বস্তিতে রয়েছেন। তাঁদের দাবি, গত কয়েক দিনে জেলায় প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ওই বৃষ্টিতে চাষের পক্ষে খুবই ভালো হয়েছে। যদিও জলদি চাষের কিছু সব্জি চাষের ক্ষতি হয়েছে।