বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, গ্রামীণ এলাকার মানুষকে বাড়ির কাছাকাছি এলাকায় যাতে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায় সেবিষয়ে রাজ্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সেইমতো জেলা থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে এতদিন মূলত রায়গঞ্জ ও ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের উপর নির্ভর করতে হতো। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কালিয়াগঞ্জ ও করণদিঘিতে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো থেকে অনেক জটিল অপারেশন করার সুযোগ পাবেন রোগীরা। দুটি হাসপাতাল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করার পাশাপাশি সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জেলায় ১৮টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে সাতটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০ শয্যার ইন্ডোর ও আউটডোর পরিষেবা চালু রয়েছে। ১১টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুধুমাত্র আউটডোর পরিষেবা চালু রয়েছে। চোপড়ার রামগঞ্জে নতুন একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রায়গঞ্জের মহারাজা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ৩০ শয্যা থেকে ৬০ শয্যার গ্রামীণ হাসপাতালে উন্নীত করা হবে। কালিয়াগঞ্জের কুনোর ১০ শয্যার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে কালিয়াগঞ্জ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নীত করা হচ্ছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় জাতীয় সড়ক থাকায় ও দুর্ঘটনাপ্রবণ হওয়ায় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে সম্প্রতি একটি ট্রমা ইউনিট চালু করা হয়েছে। ইসলামপুর মহকুমা হাসাতালে ডায়ালিসিসি ইউনিট, সিসিইউ ইউনিট, সিটি স্ক্যান সহ বিভিন্ন উন্নত পরিষেবা ও পরিকাঠামো গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দু’বছরের মধ্যে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষরা বাড়ির কাছাকাছি হাসপাতালে ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন। ক্রিটিক্যাল প্রসূতিদের সিজার করতেও দূরের কোনও হাসপাতালে যেতে হবে না।