বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কোচবিহারে যেমন প্রথা মেনে দশমীর দিন সকালেই বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হয়েছে বড়দেবীর। প্রতি বছরই দশমীর দিন দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য ও স্থানীয় মানুষ ট্রলি ঠেলে বড়দেবীর প্রতিমাকে লম্বাদিঘির সামনে নিয়ে আসেন। সেখানে পুজোর আয়োজন করা হয়। রাজ পুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সেখানে পুজো সারেন। এরপর বিরাট প্রতিমাকে ভাগ ভাগ করে ওই দিঘিতে বিসর্জন দেওয়া হয়। বিসর্জন দেখতে বহু মানুষ সেখানে ভিড় জমান। পাশাপাশি মঙ্গলবারই শহরের অনেক প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। সেগুলির মধ্যে একাধিক বিগ বাজেটের পুজোও রয়েছে। তবে শহর ও সংলগ্ণ এলাকার একাধিক মণ্ডপে বুধবারও দেখা গিয়েছে প্রতিমা।
আলিপুরদুয়ার শহরের ক্ষেত্রে অবশ্য ছবিটা একটু অন্যরকম। এই শহরের বাসিন্দারা এখনও পুজোর রেশ উপভোগ করছেন। জেলা সদরের বেশিরভাগ বিগ বাজেটের পুজো মন্ডপগুলির প্রতিমা বুধবার পর্যন্ত বিসর্জন দেওয়া হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার এবং আগামীকাল শুক্রবার শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির প্রতিমার বিসর্জন হবে।
জলপাইগুড়ি শহরের কয়েকটি বিগ বাজেটের পুজো ছাড়া অধিকাংশ পুজোর বিসর্জন হয়ে গিয়েছে দশমীতেই। দিশারী ক্লাব, রায়কত পাড়া বারোয়ারি ক্লাব সহ অধিকাংশ দুর্গাপুজো কমিটির প্রতিমার বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। জেলায় প্রায় ৩৯০ টি প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে দশমীতে। বুধবারও একাধিক প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বাকি প্রতিমাগুলি বিসর্জন দেওয়া হবে। তবে করলা নদীর বাবুপাড়া ঘাটে বিসর্জনের পরেও অনেক প্রতিমা পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘাট ঠিক মত পরিষ্কার না করার অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে জলপাইগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান মোহন বোস বলেন, বিসর্জনের দিন থেকেই নদী পরিষ্কারের কাজ চলছে। পরশু দিনের মধ্যে সমস্ত ঘাট পরিষ্কার করা হবে।
এদিকে ময়নাগুড়ি ব্লক ও পুলিস প্রশাসনের উদ্যোগে এবং খাগড়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ময়নাগুড়ির জর্দা নদীতে দুর্গা প্রতিমার নিরঞ্জন হবে। বুধবার সকাল থেকেই তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। এদিন সকাল থেকে খাগড়াবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ঘাটে চলছে নানা কাজ। জর্দা নদীর ঘাটে অস্থায়ী শিবির বানানো হচ্ছে। ঘাটে মাটি বোঝাই বস্তা দিয়ে অস্থায়ী ভাবে নদীতে যাওয়ার রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি জর্দা নদীর ঘাটে রঙ করার কাজ চলছে। সমস্ত কিছু সরেজমিনে এদিন সকাল থেকেই দেখাশুনা করেছেন খাগড়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সীমা রায়।
২০১৭ সালে ময়নাগুড়িতে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য জর্দা নদীতে আলাদা ঘাট নির্মাণ করা হয়। সে সময় থেকে সমগ্র ময়নাগুড়ির দুর্গা পুজোগুলির উদ্যোক্তারা শোভাযাত্রা করে এই ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু করেন। এবছরও তার কোনও ব্যতিক্রম হবে না। পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সমগ্র ময়নাগুড়ি সদর এলাকা বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে ফেলা হবে। নিরঞ্জনের ঘাটে চলবে বিশেষ নজরদারি। পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাত ১ টার মধ্যে নিরঞ্জন শেষ করতে হবে।
খাগড়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সীমা রায় বলেন, প্রতিমা নিরঞ্জনের ঘাটে আমরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলির প্রচার চালাবো।
ময়নাগুড়ির আই সি তমাল দাস বলেন, বৃহস্পতিবার প্রতিমা নিরঞ্জন ঘিরে যে শোভাযাত্রা হবে তা নির্দিষ্ট রুট মেনে যেতে হবে।আমাদের মোবাইল ভ্যান থাকবে। জর্দা সেতুর উপরে, রাস্তায়, ঘাটে প্রচুর পুলিস মোতায়েন থাকবে। এছাড়া জর্দা নদীতেও আমাদের বিশেষ নজরদারি চলবে।