গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহের থিমের পুজো মণ্ডপগুলিতে এদিন থেকেই রীতিমতো লম্বা লাইন পড়ে যায়। মানুষ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে প্রতিমা দর্শন করেন। শহরের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন ব্লক এলাকার বাসিন্দারাও এদিন শহরে পুজো দেখতে আসেন। এদিনও বেশ কিছু মণ্ডপে উদ্যোক্তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অসমাপ্ত মণ্ডপে শিল্পীরা কার্যত ‘ফিনিশিং টাচ’ দিতে ব্যস্ত ছিলেন এদিনও। মণ্ডপের পাশাপাশি এদিন বাজারেও ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়েছে। শেষ বেলায় অনেকেই এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পুজোর কেনাকাটা সারেন।
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, এদিন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দর্শনার্থীরা সুষ্ঠুভাবে পুজো দেখেছেন। জেলাজুড়ে দুই হাজার পুলিস কর্মী ময়দানে নেমেছেন।
এদিকে, পুজোয় দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন সংগঠনের তরফে ইংলিশবাজার শহরে শিবির করা হয়েছে। শহরের পোষ্ট অফিস মোড়ে এদিন সন্ধ্যায় জাগো বাংলা’র স্টলের উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তৃণমূলের মালদহ জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর, জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন শাসক দলের যুব সংগঠনের একটি স্টলেরও উদ্বোধন হয়। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের তরফেও এদিন স্টল খোলা হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, চিত্তরঞ্জন মার্কেটের সামনে রাস্তার পাশে আমরা দর্শনার্থীদের সহায়তায় শিবির খুলেছি। ওই শিবিরে প্রাথমিক চিকিৎসার উপকরণ সহ একটি বাইক রাখা থাকবে। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বাইকে করে তাঁকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সেইসঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসাও করা হবে। ওই বাইক অলিগলি ঘুরে অসুস্থদের উদ্ধার করবে। তিনি আরও বলেন, এদিন বাজারে ভালো বিক্রিবাটা হয়েছে। ষষ্ঠীতেও অনেকে বাজার সেরেছেন। ফলে ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। বৃষ্টির জন্য পুজোর বাজারের টানা লোকসান শেষ কয়েকদিনে তাঁরা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পেরেছেন।
মালদহ কৃষ্ণকালীতলা কল্যাণ সমিতি ও গ্রন্থাগারের সম্পাদক পরিমল সরকার বলেন, পঞ্চমীতে আমাদের পুজোর উদ্বোধন হয়েছে। এদিন মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভালো ভিড় ছিল। ছোট বড় সকলেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে আলোকসজ্জা উপভোগ করেছে।
ইউনাইটেড ইয়ংসের সম্পাদক সমীর কুণ্ডু বলেন, এদিন বিকেল থেকে মণ্ডপ চত্বর কালো মাথায় ভরে যায়। সন্ধ্যায় মণ্ডপ প্রাঙ্গণ কার্যত জনসমুদ্রের চেহারা নেয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের ভিড়ও বাড়তে থাকে।
অন্যদিকে, এদিন মহানন্দা এবং টাঙন নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পায়। পুরাতন মালদহ শহরের নদীতীরবর্তী এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মির্জাপুর নীচুপাড়ার অগ্নি সংঘের মণ্ডপে নদীর জল ঢুকে যায়। এরফলে উদ্যোক্তারা বেজায় সমস্যায় পড়েন। যদিও জলমগ্ন অবস্থাতেই দেবীর পুজো হয়েছে বলে ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে।