বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ঐশীর বাবা শৌভিন চক্রবর্তী শহরের একটি নার্সিংহোমে কাজ করেন। মা বিনু চক্রবর্তী পাণ্ডে গৃহবধূ। বাবা, মা, ঠাকুমা এবং দিদির সঙ্গে ঐশী থাকে। মায়ের হাত ধরে দীর্ঘদিন ধরেই ঐশী রামকৃষ্ণ মিশনে যাতায়াত করছে। তার ঠাকুমা ছবি চক্রবর্তী ভারত সেবাশ্রম সংঘে দীক্ষা নিয়েছেন। ফলে বাড়িতে আধ্যাত্মিক পরিবেশে মানুষ হওয়ার সুবাদে ছোট্ট ঐশীর মনেও ভক্তি ও আধ্যাত্ম চেতনার বিকাশ ঘটেছে।
শুক্রবার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, দিদি শ্রেয়সীর সঙ্গে ঐশী খুনসুটিতে ব্যস্ত। অঙ্কপ্রিয় ঐশী আঁকতেও ভালোবাসে। এদিন সে বলে, আমি বড় হয়ে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করব। প্রতিদিন পড়াশুনার পাশাপাশি ছবি আঁকি। মিশনে যেতে ভালো লাগে। মন দিয়ে মিশনের পুজোর মন্ত্র শুনি।
ঐশীর মা বলেন, বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে থেকেই মেয়ে আমার সঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশনে যেত। ভারতমাতা সাজার পর থেকে মেয়ের পরিচিতি বাড়ে। মিশনের মন্দিরে আমার পাশে দীর্ঘক্ষণ শান্ত চিত্তে ঐশী বসে থাকে। বিষয়টি অধ্যক্ষ মহারাজের চোখে পড়ে। তিনিই তখন কুমারী পুজোর জন্য মেয়েকে নির্বাচন করেন।
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, আমি এবং আমার স্ত্রী দুই মেয়েকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই মিশনে যাই। মহারাজদের সঙ্গে আলাপ করি। ছোট মেয়ে মিশনের পরিবেশে থাকতে ভালোবাসে।
উল্লেখ্য, মালদহ রামকৃষ্ণ মিশন শতবর্ষের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। মিশনের পুজোও বহু পুরানো। সেখানে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে একচালার সাবেকি প্রতিমায় দেবী পূজিতা হন। প্রতিবছর রীতি মেনে কুমারী পুজো হয়। অষ্টমীর সন্ধিপুজোর আগে ওই পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যক্ষ স্বামী ত্যাগরূপানন্দ বলেন, প্রতিদিন দেবীর ভোগারতির পরে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করা হবে। সকালে হবে চণ্ডীপাঠ। সন্ধ্যায় হবে মা দুর্গার আরতি। মহাষ্ঠমীর দিন দুপুরে খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ হবে।
মালদহ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম সূত্রে জানা গিয়েছে, মহা সপ্তমী থেকে মহা নবমী পর্যন্ত দেবী দুর্গাকে বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয়। ভোগে থাকে পাঁচরকম ভাজা ও তরকারির সঙ্গে মাছের পদও। তবে সংলগ্ন রাম মন্দির থেকে আনা নারায়ণ শিলা ও লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক ও সরস্বতীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয় বিশুদ্ধ নিরামিষ ভোগ।