বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
মৃতের ছেলে মাজেদুল হক বলেন, বাবা বিভিন্ন নথিপত্রে নাম সংশোধনের জন্য কয়েক দিন ধরে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, বিডিও অফিসে ঘুরছিলেন। রেশনকার্ড, জমির কাগজপত্র ঠিক করার চেষ্টা করছিলেন। এসব নিয়ে তিনি ক’দিন ধরেই চিন্তিত ছিলেন। চারিদিকে এনআরসি নিয়ে আলোচনা হওয়ায় ওসব নথির ভুল সংশোধন কীভাবে হবে তা নিয়ে বিভিন্ন লোকের থেকে পরামর্শ সংগ্রহ করছিলেন। নানা কথা শুনে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বাড়িতে বাবার মৃত্যু হয়। আমরা প্রধানকে বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিসকে জানানো হবে।
মৃতের ভাইপো মহসিন রেজা বলেন, জেঠু বিভিন্ন কাগজপত্র সংশোধন করা নিয়ে চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। সেই কারণেই অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি এনআরসির আতঙ্কে ভুগছিলেন। আমরা তাঁকে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু তিনি সবসময়েই ওসব নিয়ে চিন্তা করায় দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন।
ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের রেণুকা খাতুন বলেন, এনআরসি নিয়ে চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় গ্রামের একবৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি আমাকে পরিবারটি জানিয়েছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধ পেশায় কৃষিজীবী ছিলেন। তাঁর দুই ছেলে, পাঁচ মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন। মৃত ব্যক্তির রেশনকার্ড ও ভোটেরকার্ডে নামের গণ্ডগোল ছিল বলে পরিবারের দাবি। এছাড়াও জমির কাগজপত্র নিয়েও কিছু সমস্যা ছিল। পাশাপাশি পুরনো কিছু কাগজপত্র তিনি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এসব নিয়ে কয়েকদিন ধরেই তিনি চিন্তায় ছিলেন। ১ অক্টোবর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে চকচকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাও করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়।