কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মাথাভাঙা আজাদ হিন্দ ক্লাবের সম্পাদক ও মাথাভাঙা উত্তরপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির পুজো কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় বর্মন ও বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামাঞ্চলের লোকজনকে বললেই পদ্ম এনে দিতেন। আমরা মজুরি দিয়ে দিতাম তাঁদের। এখন আর এদিকে কোথাও পদ্ম পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পদ্ম কিনে নিতে হয়। এখন দামও ভালো পদ্মের। পুজোয় পদ্ম যখন লাগবেই তখন দামের কথা চিন্তা না করে পদ্ম পাওয়াটাই আমাদের কাছে বড়ো ব্যাপার। তাই ব্যবসায়ীরা যা দাম চান, তাই দিই।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাইরে থেকে পদ্ম নিয়ে আসতে খরচ ভালোই হয়। ফলে ১৫-২০ টাকা দাম পড়ে যায় একেকটি পদ্মের। দুর্গাপুজায় প্রতিদিনই পদ্মের প্রয়োজন হয়। সেই বিপুল সংখ্যক পদ্মের প্রয়োজন মেটাতে তাই দক্ষিণবঙ্গই এখন কোচবিহারের ভরসা। আগে মাথাভাঙা মহকুমা ও সংলগ্ন কোচবিহার-১ ব্লকের একাধিক জলাভূমিতে ব্যাপক পদ্ম চাষ হতো। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পদ্ম পাওয়া যেত চান্দামারিতে। স্থানীয় বাসিন্দারা পদ্মফুল তুলে তা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতেন। আবার পুজো উদ্যোক্তারা নিজেরাই মজুরি দিয়ে পদ্ম তুলিয়ে নিতেন। তাতে টাকাও লাগতো অনেক কম। কিন্তু সময় বদলেছে। পদ্ম জন্মানোর সেসব জলাভূমি বিগত কয়েক বছরে চাষের জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। দিব্যি এখন সেখানে বোরোধানের চাষ করছেন স্থানীয়রা। মাথাভাঙার নয়ারহাট, হাজরাহাট, খলিসামারি, ভাওয়েরথানা, লালবাজার, ছোটশালবাড়ি, চান্দামারি প্রভৃতি জায়গায় প্রচুর পদ্ম জন্মাতো। কাদা ভর্তি সেই জলাভূমিতে এখন জায়গা করে নিয়েছে বোরোচাষ।
মাথাভাঙার ব্যবসায়ী দিলীপ চক্রবর্তী, বুবাই চক্রবর্তী বলেন, একদশক আগেও আমরা আশপাশ এলাকার জলাশয়ে জন্মানো পদ্ম কিনে এনে বিক্রি করতাম। তখন দামও কম নেওয়া হতো। শহরের পুজো কমিটিগুলি কিনে নিত। গ্রামাঞ্চলের পুজো উদ্যোক্তারা তো পদ্ম কিনতেনই না। ওরা নিজেরাই জোগাড় করে নিত। আর এখন তো সবাই পদ্মের জন্য লাইন দিয়ে থাকে। এদিকে এখন কোথাও পদ্ম পাওয়া যায় না। পদ্ম হয় এমন জলাভূমিগুলিতে চাষাবাদ শুরু হওয়ায় এখন আর পদ্ম পাওয়া যায় না।