শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
এবার শান্তি ভারতী পরিষদের পুজো ৫৭ তম বছরে পড়ল। দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে রাজস্থানের রানি পদ্মাবতীর মহলের আদলে। বাঁশ, প্লাইউড, ফাইবারের সামগ্রী দিয়ে শিল্পী সুভাশিস পাল মণ্ডপ তৈরি করছেন। উদ্যোক্তাদের দাবি, আপনি মণ্ডপের সামনে দাঁড়ালে ভুলে যাবেন কোথায় আছেন— মালদহে না রাজস্থানে! এক চালার প্রতিমাতেও রাজস্থানী ঘরানার ছাপ থাকবে। রাজস্থানী মহিলাদের সাজসজ্জা প্রতিমায় ফুটিয়ে তুলবেন শিল্পী সজল পণ্ডিত। মণ্ডপের ভিতরেও ছড়ানো থাকছে রাজস্থানের নানা শিল্পকলার নির্দশন। মণ্ডপের পাশাপাশি চন্দনগরের আলো এবার ওই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হতে চলেছে। আলোর জন্য প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বাজেট রয়েছে। পুজোর মোট বাজেট ১২ লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সভাপতি বাপ্পা মুখোপাধ্যায় বলেন, চতুর্থীতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ক্রিকেটার তুষার পাল আমাদের পুজোর উদ্বোধন করবেন। অন্যান্য বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের নিয়ে অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে। পুজোকে ঘিরে নানা সামাজিক কাজও আমরা করব। একাদশীর দুপুরে নিরঞ্জনের জন্য কাঁধে চাপিয়ে প্রতিমাকে মহানন্দার গোসাঁইঘাটে নিয়ে যাওয়া হবে।
কাছেই ৩২০ মোড়ের অভিযাত্রী সংঘের এবারের পুজোয় নারীশক্তির জয়গান করা হয়েছে। থিমের নাম ‘আমরা নারী সবই পারি’। ওই পুজো এবার ৬০তম বর্ষে পড়ল। এবারের পুজোর বাজেট সাত লক্ষ টাকা। থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ওই পুজো মণ্ডপে সাবেকি প্রতিমায় আধুনিকতার ছোঁয়া থাকবে। পুজো কমিটির সম্পাদক সৌরভকুমার চৌধুরী বলেন, এবার দুর্গাপুজোয় আমরা নারীশক্তি তথা মাতৃশক্তির আরাধনা করব। বাঁশ, বাটাম, কাপড়, প্লাস্টার অব প্যারিস প্রভৃতি দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। প্রতিমার পাশাপাশি মণ্ডপে ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, মূর্তি প্রভৃতি ঠাঁই পাবে। থিমের সঙ্গে মিল রেখে গড়া হবে প্রতিমা। পুজোর সময় আমরা নানা সমাজসেবামূলক কাজকর্ম করব।
একটু দূরে ৪২০ মোড় সংলগ্ন সর্বজয়ী ক্লাবের দুর্গাপুজোর থিম ‘চলো যাই বেলুড় মঠ দর্শনে’। ৪৩তম বছরে সর্বজয়ী ক্লাবের পুজোর বাজেট এবার ১০ লক্ষ টাকা। বেলুড় মঠের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। নবদ্বীপের শিল্পী স্বপন মণ্ডল বাঁশ, কাপড়, থার্মোকল প্রভৃতি দিয়ে মণ্ডপ তৈরি করছেন। মণ্ডপে একচালার ডাকের সাজের প্রতিমা থাকছে। প্রতিমা তৈরি করছেন মালদহের শিল্পী কৃষ্ণ পাল। মণ্ডপ চত্বর আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হবে। মালদহ জেলারই কুশলীরা আলো দিয়ে মণ্ডপ ভরিয়ে তুলবেন। পুজো কমিটির সম্পাদক সঞ্জীব শীল বলেন, চতুর্থীতে আমাদের পুজোর উদ্বোধন হবে। মনস্কামনা কালী মন্দিরের পুরোহিত পুজোর উদ্বোধন করবেন। পুজোর দিনগুলিতে সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডও আমাদের থাকবে। পাশাপাশি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে জেলার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এলাকার মহানন্দা নদীর ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন হবে।