শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
এদিকে পুলিসের কাছে চুরির ঘটনা নিয়ে একের পর এক অভিযোগ জমা হতেই শহর জুড়ে কড়া নজরদারি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। একাধিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত করে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিস। ধৃতদের জেরা করেই জানা গিয়েছে যে তাদের অধিকাংশেরই বাড়ি মালদহ জেলাতে। শহরের পাশাপাশি এই চোরের দল এখন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে। পুজোর আগে এমন ঘটনায় মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বাড়ি ফাঁকা রেখে বাইর যেতে ভয় পাচ্ছেন শহরবাসী। যদিও পুলিসের দাবি, নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই।
ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, পুলিসের তরফে শহরজুড়ে কড়া নজরদারি রয়েছে। চুরির ঘটনার অভিযোগ পেতেই তৎপরতার সঙ্গে পুলিস কাজ করছে। কয়েক দিনের মধ্যে মালদহ থেকে আসা প্রায় ১০ জনের বেশি দুষ্কৃরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহালয়ার পর থেকে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।
বালুরঘাট শহর এখন মালদহের চোরদের গ্যাংয়ের দখলে চলে গিয়েছে। সাইকেলে তালা মেরে রেখে দিয়ে বাসিন্দারা কোনও কাজ করতে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তা উধাও হয়ে যাচ্ছে। শহরজুড়ে কাজ করছে এই চোরের দল। বাড়িগুলির দিকেও নজর রেখেছে তারা। কেউ না থাকার সুযোগে বাড়ির ভেতরে ঢুকে টাকা, সোনার গয়না ইত্যাদি চুরি করে চম্পট দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিস সূত্রের খবর, এই গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িতরা চাবি ছাড়া তালা খুলতে পারদর্শী। তাই চাবি ছাড়াই তালা খুলে মুহূর্তের মধ্যে চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছে। মূলত শহরের ডানলপ মোড়, তহবাজার, বাসস্ট্যান্ড, বিশ্বাসপাড়া এলাকায় এই গ্যাং দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কিছু সদস্য নজর রাখছে বাড়িগুলির দিকে। কিছু সদস্য হাতসাফাইয়ের কাজ করছে। বালুরঘাট শহর জুড়ে পুরো গ্যাং একসঙ্গে কাজ করছে। দিনের বেলা শহরে এসে চুরির কাজ করে ভোরের ট্রেনে মালদহ চলে যাচ্ছে তারা।
এই দুষ্কৃতীরা মূলত সাইকেল চুরি করে বালুরঘাটে বিক্রি করে দিচ্ছে। চোরাই সাইকেলের দর মিলছে ১০০০ টাকা। এদের সঙ্গে কয়েকজন দালাল যুক্ত রয়েছে। তারাই চোরাই সামগ্রী বিক্রি করতে সাহায্য করছে। পাশাপাশি কাপড়ের দোকানের ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে কেপামারি যেমন করছে, তেমনি দোকানের সামগ্রীও চুরি করছে এই গ্যাংয়ের সদস্যরা।
শহরের পাশাপাশি এই চোরের দল গ্রামেও ঢুকে পড়েছে। শহর লাগোয়া গ্রামগঞ্জেও চুরির ঘটনা বেড়েছে। পুলিসের হাত থেকে বাঁচতেই শহর বাদ দিয়ে এবার গ্রামকে চুরির জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা কিছু দুষ্কৃতী মাদক সেবনের খরচ জোগাতে চুরিচামারি করছে বলে জানা গিয়েছে।