শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
একশো তিরিশ বছরের বেশি সময় ধরে মদনমোহনবাড়িতে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। এখানে ষষ্ঠীর দিন থেকেই বলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। মহাষ্টমীর দিন এখানে মোষ বলির প্রচলন রয়েছে। কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের এক পাশে এই কাঠামিয়া দুর্গার স্থায়ী মণ্ডপ রয়েছে। এখানে কুমারী পুজো না হলেও নবমীর দিন এখানে কুমারী ভোজন ও ব্রাহ্মণ ভোজনের রীতি চালু আছে।
রাজপুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, একশো তিরিশ-পঁয়ত্রিশ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। এই পুজোর প্রতিমাতে দেবী দুর্গার সঙ্গে অন্যান্য প্রতিমার মতোই লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিক থাকেন। এখানে বলি প্রথার প্রচলন রয়েছে। এছাড়াও কুমারী ভোজন, ব্রাহ্মণ ভোজন হয়। এখানে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে।
কোচবিহারের প্রাচীন দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম মদনমোহনবাড়ির দুর্গাপুজো। মদনমোহন মন্দির প্রাঙ্গণে ঢুকলে বাঁ দিকে এই কাঠামিয়া মণ্ডপটি অবস্থিত। এখানেই দুর্গাপুজোর সময়ে পুজোর আয়োজন করা হয়। এই প্রতিমা কোচবিহারের গুঞ্জবাড়ি এলাকায় নির্দিষ্ট একটি পাল পরিবারের শিল্পীরাই তৈরি করেন। এই প্রতিমা তৈরির ক্ষেত্রে কোনও বাঁশ ব্যবহার করা হয় না। প্রতিমার পুরো কাঠামোটিই কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। কাঠের কাঠামোর উপরে খড় ও মাটির প্রলেপ দিয়ে প্রতিমা তৈরি করা হয়।
ষষ্ঠীর দিন বিল্ববরণ অনুষ্ঠান হয়। সেদিনই পাঁঠা বলির প্রচলন রয়েছে। এরপর সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী —এই তিন দিনই বলি হয়। মহাষ্টমীতে মোষ বলির পর নবমীতে পাঁঠা বলি হয়। নবমীর দিনই একজন কুমারীকে ভোজন করানো হয়। পাশাপাশি এগারো জন ব্রাহ্মণকেও খাওয়ানো হয়। দশমীর দিন বিকালে এখানকার প্রতিমা স্থানীয় তোর্ষা নদীতে বিসর্জন দেওয়ার রীতি রয়েছে। এই পুজোকে ঘিরে কোচবিহারবাসীর যথেষ্ট উৎসাহ উদ্দীপনা রয়েছে। দূর-দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এই পুজো দর্শন করতে আসেন। অত্যন্ত ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে এই পুজোর আয়োজন করা হয়।