শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
এদিন দুপুরে প্রশান্ত মিত্র ঘনিষ্ঠ ওই তিনটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা পুরসভায় গিয়ে চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান এই তিন কাউন্সিলারকে না জানিয়েই তাঁদের ওয়ার্ড থেকে নিজের ইচ্ছেমতো ব্যক্তিদের নাম হাউস ফর অল প্রকল্পের উপভোক্তার তালিকায় তুলেছেন। অমলেন্দুবাবুর সঙ্গে দেখা করতে পুরসভায় গেলে সেখানে চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলাররা তাঁদের হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ ওই তিন কাউন্সিলারের। অপরদিকে চেয়ারম্যান জানান, কাউকে হেনস্তা করা হয়নি। প্রশান্ত গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যানকে বুধবার পদ থেকে অপসারণ করায় এদিন পরিকল্পনা করে পুরসভায় ঝামেলা করতে হাজির হয়েছিলেন প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলাররা।
গঙ্গারামপুর পুরসভার কাউন্সিলার অমিতা সরকার বিশ্বাস বলেন, সম্প্রতি গঙ্গারামপুর পুরসভা থেকে হাউস ফর অল প্রকল্পে দ্বিতীয় দফায় ওয়ার্ডভিত্তিক দুঃস্থদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আমরা এখনও তৃণমূলে থাকলেও আমাদের কাউন্সিলারের মর্যাদা না দিয়ে আমাদের ওয়ার্ড থেকে চেয়ারম্যান নিজের পছন্দমতো তালিকা তৈরি করেছে। আমাদের কোনওরকম চিঠি পর্যন্ত পাঠাননি। আমরা এদিন পুরসভায় চেয়ারম্যান সঙ্গে কথা বলতে গেলে চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলাররা আমাদের হেনস্তা করেছে। আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আমাদের বের করে দিয়েছে। আমরাও এর শেষ দেখে ছাড়ব।
গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার বলেন, যে কাউন্সিলাররা অভিযোগ করছেন তাঁদের চিঠি দিয়ে ডাকা হয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁরা মিটিংয়ে উপস্থিত হন নি। আমি চেয়ারে বসার পর থেকে তাঁরা পুরসভায় আসেন না। এদিন তাঁরা এসেছিলেন আমার সঙ্গে কথা বলতে। কোনও কাউন্সিলার তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি। তাঁদের গোষ্ঠীর ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করায় পরিকল্পনা করে এদিন ঝামেলা করতে এসেছিলেন তাঁরা। ওই তিনজন কাউন্সিলারকে হাউস ফর অল প্রকল্পের মিটিংয়ে ডাকার পর তাঁরা না আসায় আমি ওই তিন ওয়ার্ড থেকে দুঃস্থদের নাম তুলে তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছি। তাঁরা এখন আমাদের দলে নেই। তৃণমূলের প্রতীকে জিতে বিজেপি’র হাত ধরে এখন আমাদের বিরোধিতায় নেমেছেন।
গত বুধবার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের ঘনিষ্ঠ তুলসীপ্রসাদ চৌধুরীকে ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেন বর্তমান চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার। তারপর একদিন যেতে না যেতেই আবার গঙ্গারামপুর পুরসভা উত্তপ্ত হয়ে উঠল। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা নতুন করে শুরু হল গঙ্গারামপুর পুরসভায়।