শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
নিহতদের পরিবারের পাশাপাশি বিজেপিও শুক্রবার দাড়িভিট এলাকায় শহিদ দিবস উপলক্ষে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে। বিজেপিও তাদের কর্মসূচির জন্য এখনও পুলিসের অনুমতি পায়নি। ওই এলাকার এক বাসিন্দার ব্যাক্তিগত জায়গায় সেসব কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। বিজেপি’র শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন রায়গঞ্জের সংসদ সদস্য বিজেপি’র দেবশ্রী চৌধুরী।
এদিন নিহত তাপসের মা মঞ্জু বর্মন ও রাজেশের বাবা নীলকমল সরকার বলেন, ন্যায়বিচারের জন্য প্রয়োজন হলে আরও দুই-চার বছর অপেক্ষা করব। আমাদের ছেলে বাংলা ভাষার জন্য শহিদ হয়েছে। স্কুল মাঠেই শহিদ দিবস পালন করব। প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। তবে তারা অনুষ্ঠান আটকাতে এলে তাপস- রাজেশের হাজার হাজার মা প্রতিবাদ করবে। নীলকমল সরকার বলেন, স্কুল মাঠে আমরা শহিদ দিবস পালন করব। বিজেপি’র কর্মসূচিতেও থাকব। বিজেপি’র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, পূর্ব নির্ধারিতভাবেই আমাদের কর্মসূচি হবে। পুলিস-প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে অনুমতি এখনও পাইনি। মহকুমা শাসক তথা দাড়িভিট স্কুলের প্রশাসক অলংকৃতা পাণ্ডে বলেন, স্কুল মাঠে কোনও ব্যক্তিগত কর্মসূচির জন্য অনুমতি দেওয়া হয় না। ইসলামপুর পুলিস জেলার পুলিস সুপার সচিন মক্কর বলেন, দাড়িভিটের কর্মসূচির জন্য এখনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। উপযুক্ত নথি জমা দেওয়া হলে অনুমতি দেওয়া হবে।
এক বছর আগে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ কর্মসূচি হঠাৎ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকারের মৃত্যু হয়। এই দিনটিকে বিজেপি ও নিহতদের পরিবার মাতৃভাষা শহিদ দিবস হিসেবে পালন করছে। স্কুল মাঠে নিহতদের ছবিতে মাল্যদান সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নিহতদের পরিবার এই দিনটি পালন করবে। বিজেপিও শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। ওই ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে ম্যারাথন দৌড়, রক্তদান শিবির, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, বৃক্ষরোপণ, সমাবেশ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে তারা। সেসব কর্মসূচিতেও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে ঘটনার এক বছর পরেও বিজেপি নিহতদের পরিবারকে সুবিচার পাইয়ে দিতে পারেনি বলে বুধবার তাপস ও রাজেশের পরিবার সংবাদমাধ্যমে বিজেপি’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে। তাতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে। তারপরেই অবশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোলের ব্যবস্থা করা হয়। বৃহস্পতিবার সুর বদলে ওই দুই পরিবারের সদস্যরা জানান, বিজেপি’র উপরেই তাঁদের আস্থা রয়েছে।