কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
চাকুলিয়ার জয়েন্ট বিডিও মলয় সরকার বলেন, বিষয়টি আমার কানে এসেছে। আমি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এলাকায় সচেতনতা প্রচার করা হবে। রায়গঞ্জের ডিএফও দ্বিপর্ণ দত্ত বলেন, এবিষয়ে একজন আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন। আমি দপ্তরের কর্মী পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এলাকা খুঁজে পায়নি। আবদুলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপঙ্কর বিশ্বাস বলেন, এলাকায় একটি গুজব রটেছে শুনতে পেরেছি। এবিষয়ে মানুষকে সচেতন হতে হবে, বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে। বিজ্ঞানমঞ্চের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির সহ সম্পাদক তথা ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষঞ্জ পার্থপ্রতিম ভদ্র বলেন, বিজ্ঞানমঞ্চ থেকে আমাদের সদস্যরা ওই এলাকাগুলিতে গিয়েছিলেন। স্থানীয়দের বুঝিয়ে বলেছেন। আমরা স্থানীয় ব্লক প্রশাসন, বনদপ্তর, মহকুমা শাসককে বিষয়টি জানিয়েছি। কোনও গাছ থেকেই ক্যান্সারের জীবাণু ছড়ায় না। মানুষ গুজবে গাছ কাটছে। বিজ্ঞামঞ্চের ডালখোলা কেন্দ্রের সহকারী সম্পাদক রামকৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, আমরা বালুরবাঁধ, হাসান, আবদুলপুর ও শিকারপুরে গিয়েছিলাম। যাদের বাড়িতে আফ্রিকান মেহগনি বা লম্বুগাছ আছে তারা কেটে ফেলছে। কয়েকজন বাগান কেটে ফেলেছে। আমরা স্থানীয়দের বলেছি গুজবে কান দেবেন না। ইসলামপুর মহকুমা শাসক অলংকৃতা পাণ্ডে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বুধবার প্রশাসনের তরফে ওই এলাকায় মাইকিং করা হবে। পাশাপাশি লিফলেট বিলি করে স্থানীয়দের সচেতন করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সম্প্রতি এলাকায় গুজব ছড়ায় আফ্রিকান মেহগনি বা লম্বুগাছ থেকে ক্যান্সার হয়। এই ভয়ে কেউ বাড়িতে কিংবা বাড়ির আশেপাশে থাকা ওই গাছ সকলে কেটে ফেলছেন। ওয়াকিবহল মহল বলছে, অসাধু কাঠের ব্যবসায়ীরা এলাকায় এই গুজব ছড়িয়েছে। যাতে স্থানীয়রা গাছগুলি কেটে জলের দরে বিক্রি করতে বাধ্য হন। এলাকার কাঠ মিলগুলিতে কাঠের জোগান দিতে এমন গুজব ছড়ান হয়েছে। এমন গুজব এলাকায় এবারই প্রথম নয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় বড় ধরনের কাঠের কাজের কন্ট্রাক্ট হলে কাঠের জোগান দিতে কী ধরনের গাছ প্রয়োজন সেই গাছের নামে গুজব রটিয়ে এমন করা হয়। এর ফলে পরিবেশের উপরে যেমন প্রভাব তেমনি গাছের মালিকও আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাঁদের দাবি, সচেতনতা প্রচারের সঙ্গে প্রশাসন যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দিক।