কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
কয়েকদিন আগেই শহরের ঝঙ্কার মোড়ে একটি ঋণদান সংস্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তারপর শহর ও শহরতলি এলাকায় আরও কয়েকটি চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। একের পর এক ওই ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন ওঠে। এই অবস্থায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা নিয়ে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস কমিশনারেটের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র। ঋণদান সংস্থায় ডাকাতির ঘটনা নিয়ে আলোচনা করার পর তিনি পুলিস অফিসারদের ওই ঘটনার তদন্ত দ্রুত করার নির্দেশ দেন। ডিজি’র সফরের চারদিনের মধ্যেই শহরের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিসের হুঁশ ফিরেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, আগে পুলিসের কাছে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাঙা করার দাবি বহুবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সম্ভবত ডিজি’র বৈঠকের পর স্থানীয় পুলিস অফিসাররা নড়েচড়ে বসেছেন। পুলিস অফিসাররা অবশ্য বলেন, এদিন বৈঠকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। তাঁদের সংস্থাগুলিতে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। অপরাধ রুখতে এমন কর্মসূচি মাঝেমধ্যেই পালন করা হয়। সুতরাং, পুলিসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়।
এদিন শহরের ঝঙ্কারমোড়ে একটি মিটিং হলে আয়োজিত ওই বৈঠকে কমিশনারেটের শীর্ষ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে গয়নার দোকানের সংখ্যা ৯১টি। এর বাইরে ৬৬টি ব্যাঙ্ক ও চারটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। অপরাধ রুখতে পেট্রোল পাম্পগুলির চারপাশে সঠিক জায়গায় অন্তত চারটি নাইট ভিশন যুক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে বলা হয়েছে। এছাড়া জ্বালানির বিল সঠিকভাবে প্রদান করা, অনলাইন পেমেন্টে জোর দেওয়া, নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইরকমভাবে গয়নার দোকানে এবং ব্যাঙ্ক ও অর্থনৈতিক সংস্থায় সিসিটিভি ক্যামেরা ও নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া গয়নার দোকানে কোলাপসিবল গেট বসানো, ব্যাঙ্ক ও অর্থনৈতিক সংস্থায় প্রবেশ ও বাইরের পথ একটি রাখা, ভিজিটর্স বুক চালু করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সমস্ত সংস্থাগুলিকে অন্তত ১৫দিন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ মজুত রাখতে বলা হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে কয়েকজন ব্যবসায়ী শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিলিগুড়ি স্বর্ণশিল্পী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বাবলুরঞ্জন রায় বলেন, শহরের নিউ সিনেমা রোড এলাকায় একাধিক গয়নার দোকান রয়েছে। আগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় টহল দিত পুলিস। বর্তমানে পুলিসি টহল হয় না। তখন পুলিসের এক অফিসার বলেন, গয়নার দোকানগুলি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়ানো। সর্বত্র পুলিসের পক্ষে ছোটা সম্ভব নয়। তাই আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে পালা করে টহল দিলে ভালো হয়।
বৈঠকের পরে নর্থ বেঙ্গল পেট্রোল ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামল পালচৌধুরী বলেন, আমরাই সব কিছু করছি। পুলিস কিছুই করতে পারছে না।