কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণব ঘোষ বলেন, বেশকিছু দিন আগে আমরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাতে কোনওভাবে খাবারে ভেজাল না মেশানো হয়। বৈঠকের পরেই লাগাতার অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। পুজোর মধ্যে যাতে ক্রেতাদের ভেজাল খাবার খেতে না হয় সেদিক নজর দিয়ে অভিযান আরও বাড়ানো হচ্ছে। বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হরেরাম সাহা বলেন, ক্রেতাদের ঠকানো কোনওভাবে ঠিক নয়। খাবারে ভেজাল কোনওভাবে আমাদের সংগঠন সমর্থন করে না।
পুজোর মধ্যে বালুরঘাট গঙ্গারামপুর বুনিয়াদপুর সহ হিলিতে প্রচুর দর্শনার্থী খাবারের দোকানগুলিতে ভিড় জমান। অভিযোগ, অধিকাংশ হোটেল ও রেস্টুরেন্টের মালিকরা নিম্নমানের খাবার ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে থাকে। খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত তেল থেকে শুরু করে মশলা ও খাবার সামগ্রীতে পুরো ভেজাল মেশানো হয়। খাসির মাংসের নাম করে ছাগল, ভেড়ার মাংস খাবার তৈরিতে ব্যবহার করার পাশাপাশি কম দামে পোল্ট্রি ফার্মগুলি থেকে মৃত মুরগি সংগ্রহ করা হয়। এমনটা করার মূল কারণ অধিক মুনাফা লাভ করা। পুরনো দোকানের পাশাপাশি রাস্তার ধারে প্যান্ডেল করে নতুন দোকান দিতে দেখা যায়। সেই দোকানগুলিতেও একই ভাবে খাবারে ভেজাল মেশানো হয়। অন্যদিকে, দোকানে মিষ্টি তৈরিতে যে দুধ ও চিনি ব্যবহার করা হচ্ছে তাতেও প্রচুর পরিমাণে ভেজাল থাকছে। গোরুর দুধের পরিবর্তে প্যাকেটের দুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মিষ্টি তৈরিতে চিনির বদলে স্যাকারিন মেশানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা হয়। পুজোর মধ্যে যাতে ক্রেতাদের কোনওভাবে ভেজাল মেশানো খাবার না খেতে হয় সেদিক নজর দিয়ে প্রশাসনের তরফে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও রাস্তার ধারে ফুটপাতে থাকা খাবারের দোকানগুলিতে জোরদার নজরদারি প্রশাসনের তরফে চালানো হবে। দেখা হবে তাদের অনুমতি আছে কিনা। সংগ্রহ করা হবে খাবারের নমুনা। সেগুলি ল্যাবে পাঠানোর পর কোনও প্রকার অংসঙ্গতি পেলে কড়াভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।