কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
বালুরঘাট শহরের খ্যাতনামা ডেকরেটর মালিক রঞ্জিত সাহা বলেন, প্রতি বছর শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির কাজ করি। তবে এবছর বিগ বাজেটের পুজো উদ্যোক্তারা যে বাজেট অনুযায়ী প্যান্ডেল তৈরি করতে বলেছে তাতে আমাদের লাভ তো থাকছেই না বরং প্রচুর ক্ষতির মাশুল গুণতে হবে। শহরের অধিকাংশ পুজো প্যান্ডেল এবছর মালদহ, রায়গঞ্জ ও কৃষ্ণনগরের ডেকরেটর সংস্থা তৈরি করছে।
বালুরঘাট শহরের বিগ বাজেটের মধ্যে অন্যতম অভিযাত্রী ক্লাবের পুজো কমিটির সম্পাদক সনৎ মহন্ত বলেন, প্রতিবছর আমরা বালুরঘাট শহরের ডেকরেটর মালিকদের দিয়েই প্যান্ডেল করি। তবে এবছর যে বাজেট দিয়েছি তা দিয়ে শহরের কোনও ডেকরেটর মালিক প্যান্ডেল করতে রাজি হননি। যেকারণে মালদহের এক ডেকরেটর সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা আশাবাদী প্রতিবছরের মতো এবারেও আমাদের পুজো নজর কাড়বে।
বরাবর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের পুজো জেলারবাসীর নজর কাড়ে। শহরের অধিকাংশ বিগ বাজেটের পুজোর প্যান্ডেলগুলি তৈরির দায়িত্ব শহরের ডেকরেটর সংস্থার কাঁধে পড়ে। তবে এবছর হাতেগোনা দুই তিনটি পুজো বাদ দিয়ে বাকি বিগ বাজেটের পুজোগুলি প্যান্ডেল তৈরির দায়িত্ব ভিন জেলার ডেকরেটরদের দিয়েছে। জানা গিয়েছে, শহরের ডেকরেটর মালিকরা বাইরে থেকে শিল্পী এনে প্যান্ডেলের কারুকার্যের কাজ করেন। তবে এবছর বাইরের শিল্পীরা যা মজুরি চাইছে তা দিয়ে তাঁদের কাজ করানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, প্যান্ডেল তৈরির সামগ্রীর দাম গত বছরের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক কারণে পুজো কমিটির সদস্যরা যে প্যান্ডেল তৈরির জন্য যা বাজেট দিয়েছেন তাতে স্থানীয় ডেকরেটররা কাজ করতে রাজি নন। ফলে বাধ্য হয়ে পুজো উদ্যোক্তারা ভিন জেলার ডেকরেটরদের দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করাচ্ছেন।