কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
দিন কয়েক আগেই জেলায় এসে বৈঠক করে গিয়েছেন রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকরা। ওই বৈঠক শেষে ডিজি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জেলা শান্তিপূর্ণ আছে। কিন্তু তারপরেই পুলিসের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া ও গুলিচালনার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এদিন বোমা উদ্ধার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্তি পুলিস সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, দু’টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিসের গাড়িতে বোমা ও গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় আগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে আরও দু’ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুজোর আগে আমরা সামগ্রিকভাবে জেলাজুড়ে বিশেষ অভিযান চালাব।
কোচবিহার জেলায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের সূচনা লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে। ওই নির্বাচনে এই আসনে বিজেপি জয়লাভ করার পর বহু এলাকাতেই দলবদলের একটা হিড়িক দেখা দেয়। অনেকে জায়গাতেই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান, উপপ্রধানরা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি আবার অনেক জায়গায় তৃণমূল ছেড়ে তাদের একাংশ ঘরওয়াপসিতে শামিল হয়েছেন। এই টানাপোড়েনের কারণে অনেকে জায়গায় গণ্ডগোলও হয়েছে। এর পাশাপাশি এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটছে। রাতের অন্ধকারে অনেক এলাকাতেই রাজনৈতিক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকায় এলাকায় বোমা ছুঁড়ে ত্রাস তৈরি করা, গ্রামাঞ্চলে বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও প্রায়শই ঘটছে। জেলার বহু বাজার ও হাট এলাকায় রাজনৈতিক গণ্ডগোল হয়েছে। এর ফলে ওই সব এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এক টানা এই ধরণের ঘটনা ঘটে চলায় অনেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন যে এত বোমা আসছে কোথা থেকে? পুলিস কেন এসবের লাগাম টানতে আরও জোর দিচ্ছে না?
গত শনিবার রাতেই ভেটাগুড়িতে পুলিসের গাড়িতে বোমা ছোঁড়া ও গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছিল। তারপরেই সোমবার সকালে ভেটাগুড়ি সংলগ্ন শাকদল ও ব্রাহ্মাণীর চৌকি এলাকায় রাস্তার ধারে দু’টি বোমা পাওয়া যায়। স্থানীয়রাই ওই বোমা দেখতে পেয়ে পুলিসকে খবর দেন। এরপর দিনহাটা থানার পুলিস এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এলাকায় বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এর আগে দেওয়ানহাটের বলরামপুর এলাকা থেকে একটি বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিস। এছাড়াও বেশ কিছু জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে। সম্প্রতি পুলিস কিছু আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেছে। কিন্তু গণ্ডগোলের সময়ে বোমা ছোঁড়াটা এখন নিত্য নৈমিত্যিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সব ক্ষেত্রে পুলিস আগে থেকে কেন খবর পাচ্ছে না, কেন এসব রোধ করা যাচ্ছে না, এসব বোমা কোথায় তৈরি হচ্ছে, কেন আরও বোমা উদ্ধার হচ্ছে না—এই সব প্রশ্ন নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।