কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
বিজেপি’র জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দেবাশিষ চক্রবর্তী বিপুলবাবুর গ্রেপ্তারিকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন। এর পেছনে পুলিস ও তৃণমূলের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেছেন।
এদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কিষান কল্যাণী বলেন, আমরা পুলিসকে ব্যবহার করি না। ওই ব্যক্তির নামে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পম্পি রায় চৌধুরী বলেন, রবিবার গভীর রাতে পুলিস অন্যায়ভাবে আমাদের প্রধান বিপুল দাসকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রধানকে দীর্ঘ দিন ধরে হেনস্থা করছিল তৃণমূল। তবে প্রধানের অবর্তমানেও এই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস খোলা থাকবে। সাধারণ মানুকের কাজ তো আর থমকে থাকতে পারে না।
ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিপুল দাস এক সময় তৃণমূলে ছিলেন। জলপাইগুড়ি জেলায় লোকসভা ভোটে বিজেপি জেতার পরে এই প্রধানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে বিজেপি’র পক্ষ থেকে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিপুলবাবুর পদত্যাগের দাবিও করা হয়। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সহ ১০০ দিনের কাজ নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়। সেই সময় বিজেপিতে থাকা শিবশঙ্কর দত্তের অনুগামীরা প্রধানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। এরপরে তৃণমূলে থাকা প্রধান বিপুল দাস ও উপপ্রধান পম্পি রায় চৌধুরী জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি কার্যালয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। এর পরে ধর্মপুর এলাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বিজেপি নেতা শিবশঙ্কর দত্তের অনুগামীরা। প্রধানকে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে না দেওয়া এবং গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শিবশঙ্কর দত্তের বিরুদ্ধে। এর পরেই বিজেপি’র জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি শিবশঙ্করবাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। বিজেপি’র জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, এই ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি জড়িত। এব্যাপারে তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, আমার বিরুদ্ধে এক আষাঢ়ে গল্প ফাঁদা হচ্ছে। মিথ্যা কথা বলে আমাকে বদনাম করে কোনও লাভ নেই।