কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
পর্যটনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি বলেন, এই ঘটনা দুঃখজনক। দলীয় ও ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করব। তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। বামফ্রন্ট শাসিত শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র বলেন, দোকানগুলির কোনও বৈধতা নেই। তা হলেও ক্ষতিগ্রস্তদের পুরনিগমে আবেদন করতে বলেছি। আমাদের তরফ থেকে তাঁদের সাহায্য করার চেষ্টা করব।
শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের জংশন এলাকায় অবস্থিত ওই বাজার। সেখানে হোটেল সহ বিভিন্ন দোকান রয়েছে। অধিকাংশ দোকান ইটের দেওয়াল ও টিনের চাল দিয়ে তৈরি। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর রাতে তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসের ঠিক বিপরীত দিকে একটি হোটেলে আচমকা আগুন লাগে। রান্নার গ্যাসের দু’টি সিলিন্ডার বিকট আওয়াজ করে ফাটে। এরপর আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তিনটি ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন দমকল কর্মীরা। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, স্থানীয় একটি হোটেলের রান্নাঘরে আচমকাই আগুন লাগে। তা মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে। দু’টি হোটেল, মোবাইল ফোন, চা, পানের দোকান সহ ১৪টি দোকান ছাই হয়ে গিয়েছে। দোকানগুলিতে মজুত খাদ্যশস্য, আসবাবপত্র, রান্নার বাসনপত্র, মোবাইল ফোন সহ প্রায় সবকিছুই ভস্মীভূত হয়েছে। বহু চেষ্টা করেও কিছুই বাঁচানো যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর দমকলের কর্মীদেরও সন্দেহ, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শিলিগুড়ির ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার আশিস পুততুণ্ডু অবশ্য বলেন, ওই বাজারে আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুজোর মুখে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে সর্বস্বান্ত হয়ে দিশাহারা ব্যবসায়ীরা। এদিন সকালে ক্ষতিগ্রস্তদের কয়েকজন ছাই ঘেঁটে শেষ সম্বল উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন। কয়েকজন আবার সেখানে বসে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন। সেই সময় এলাকায় গিয়ে কয়েকজনের ক্ষোভের মুখে পড়েন স্থানীয় কাউন্সিলার বিজেপি’র মালতীদেবী। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, এখন সরকার পাশে না দাঁড়ালে বড় বিপদে পড়ব। তবে, ঘটনার সময় খবর দেওয়া সত্ত্বেও কাউন্সিলারের দেখা মেলেনি। তাই তাঁকে ঘিরে কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ওই কাউন্সিলার অবশ্য বলেন, ভোর রাতে ঘটনার সময় কেউ আমাকে খবর দেননি। সকালে খবর মেলার সঙ্গে সঙ্গেই এখানে এসেছি। দিনভর ওই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ছিলাম।
পুরনিগমের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের রঞ্জন সরকার বলেন, রেল ও পূর্তদপ্তরের জমিতে গড়ে উঠেছিল ওই বাজার। ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করার চেষ্টা চলছে।
শহরের ব্যস্ততম ও ঘিঞ্জি এলাকাগুলির মধ্যে জংশন চত্বর অন্যতম। দিনভর সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের জটলা হয়। সেই বাজারের পাশেই উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, পেট্রোল পাম্প প্রভৃতি রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বলেন, আগুন আরও ছড়ালে বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারতো। তা থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে।