কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
বেশ কিছুদিন ধরে বামনগোলা ব্লকে ডেঙ্গু নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এনিয়ে গ্রামবাসীদের সচেতন করতে এদিন সংসদ সদস্য ওই এলাকায় হাজির হয়ে যান। সংসদ সদস্য খগেন মুর্মু বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে ওই গ্রামে একটা আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আমি ওই গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে আছেন। তাদের ভয় কাটাতে গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। এটি অন্যত্র যাতে না ছড়ায় তারও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা চাইছি মানুষের মধ্যে যেন অযথা আতঙ্ক না ছড়ায়। অনেক সময় মানুষ আতঙ্কেই মারা যায়। সেজন্য এখানে চিকিৎসকসহ প্রশাসনিক স্তরের লোকজনকে এনে গ্রামবাসীদের বোঝানো হচ্ছে। এখন জেলাজুড়ে বিভিন্ন রকম জ্বরও হচ্ছে। ওই এলাকায় বেশকিছু দিন ধরে জ্বর দেখা দিয়েছে। আমরা বলেছি, মশা-মাছির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। মশারি ব্যবহার করতে হবে। বিশুদ্ধ জলপানে করতে হবে। এলাকায় নোংরা জমতে দেওয়া যাবে না। জ্বর হলেই ডাক্তার দেখাতে হবে। এনিয়েই এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করেছি।
বামনগোলা ব্লকের বিওএমএইচ সুদীপ কুণ্ডু বলেন, ব্লকে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের ডেঙ্গুর উপসর্গ মিলেছে। তারা বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থও আছেন। সাধারণ জ্বর গ্রামে রয়েছে। এদিন গুনাইডাঙা গ্রামে মেডিক্যাল টিম বসানো হয়। সেখানে শতাধিক গ্রামবাসীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সেখানে সাধারণ জ্বর ছাড়া অন্য কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা নজর রাখছি। এলাকায় বাসিন্দাদের সচেতন করা হচ্ছে ।
জেলাজুড়ে পুজোর মরশুমে অজানা জ্বরসহ ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি থেকে চলতি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় ২০০ জনের বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে জ্বরে ভুগছেন। বামনগোলা ব্লকে অনেকের জ্বর হওয়ায় ডেঙ্গুর আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সাধারণ জ্বর হলেই ডেঙ্গু হয়েছে বলে গুজব রটে গিয়েছে। সম্প্রতি জ্বরের এক রোগী মারা যাওয়ার পর থেকেই গুজব দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। ডেঙ্গু নিয়ে গুজব আটকাতে এদিন এলাকায় সচেতনতা শিবির করা হয়। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন সংসদ সদস্য। ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, ডেঙ্গু রোধে গ্রামবাসীদের বাড়ির আশেপাশে জল জমতে না দেওয়ার পাশাপাশি জল ফুটিয়ে খেতে বলা হয়েছে। ওই গ্রামে মেডিক্যাল ক্যাম্পে একাধিক জ্বরের রোগীর রক্ত পরীক্ষা করা হলেও কারও শরীরে ডেঙ্গুর জীবাণু মেলেনি।