পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তপন ব্লকের বিডিও সুশান্ত মাইতি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরে প্রশাসনের তরফে তদন্ত শুরু করা হয়। সেখানে কিছু কাজে অনিয়মের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তপন থানার ওসি সৎকার সামবো বলেন, বিডিওর তরফে লিখিত অভিযোগ পেতেই পুলিসের তরফে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
তপনের বিধায়ক তৃণমূলের বাচ্চু হাঁসদা বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে কোনওভাবে আপোস করা যাবে না। পুলিস প্রশাসনের উচিত সঠিকভাবে তদন্ত করে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ওই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বিমল মাহাতো বলেন, আমার অজান্তেই সব কাজ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সব কাজ দেখাশোনা করতেন। তাঁদের সইয়ের পর আমি সই করতাম। এরকম ঘটনা ঘটবে আমি ভাবতেও পারছি না। আমি কোনও দুর্নীতিতে যুক্ত নই। অভিযুক্তদের বাকিদেরও দাবি, তাঁরা কোনও অনিয়মে যুক্ত নন।
এদিকে অভিযুকদের মধ্যে একাধিক সরকারি কর্মী রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কেন দ্রুত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, ঘটনার সমস্ত প্রমাণ প্রশাসনের কাছে রয়েছে। কিন্তু লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরেও অভিযুক্ত সরকারি কর্মী ও শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রুত এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা না হলে আগামীতে আন্দোলনের হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে।
বিজেপি’র সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে দুর্নীতির প্রমাণ পেলেও কেন সেই অভিযুক্ত সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা বুঝতে পারছি না। দ্রুত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এই নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব।
জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজে রামপাড়া চেঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাবতৈল গ্রামে একাধিক পুকুর খনন ও রাস্তা তৈরি করার উদ্যোগ প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়। মাস্টার রোল বানানো হয় পঞ্চায়েতের তরফে। পঞ্চায়েতের দাবি, এলাকার কয়েক হাজার মানুষ ১০০ দিনের কাজে সেই রাস্তা ও পুকুরের কাজ করেন। পুকুর খনন ও রাস্তা তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করে টাকা চেয়ে প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রশাসন নিয়ম অনুসারে ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। এরই মধ্যে প্রশাসনের কাছে এলাকার এক ব্যক্তি ওই কাজের ব্যাপারে অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগ ছিল, ওই গ্রামে কোনও কাজ না করেই টাকা অনিয়ম করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই প্রশাসনের আধিকারিক এলাকায় কাজ খতিয়ে দেখতে যান। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে আধিকারিকরা ধন্দের মধ্যে পড়ে যান। যে সমস্ত স্থানে পুকুর খনন করা হয়েছে বলা হয়েছিল, সেই সমস্ত স্থান ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে পুকুর খনন না করে টাকা বরাদ্দ করা হল? আদতে কারা কাজ করেছে আর কারাই বা টাকা পেয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
তদন্ত করতেই সামনে আসে, কাজ না করেই টাকা তছরুপ করা হয়েছে। ঘটনার প্রমাণ পেতেই ব্লক প্রশাসনের তরফে এই নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।