শারীরিক সমস্যায় ভোগান্তি আর কর্মে বাধা। দাম্পত্যে মনোমালিন্য হতে পারে। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
প্রীতিশবাবু বলেন, আমি আবাসিকদের খাবার দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য ঘরে এসেছিলাম। ঘরের দরজা খুলতেই দেখতে পাই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ছেলেটি বলছিল কাকু বাঁচাও। তখন আমি কিছু বুঝে উঠতে না পেরে জল ঢালতে শুরু করি। ঘরের দরজা ভেজানো ছিল। তবে ভেতর থেকে আটকানো ছিল না। দু’টি জানালা বন্ধ ছিল। দরজার তালার সঙ্গে চাবি ঝুলছিল। ঘরের চাবি দরজার সঙ্গে বরাবরের মতো ওই দিনও ঝোলানো ছিল। এখন থেকে গার্ডের পকেটেই চাবি রাখা হবে। এখানে স্টাফ আরও থাকলে ভালো হবে।
মৃতের মা গীতা মাহাতো বলেন, এদিন আমি জেলার পুলিস সুপারের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি এই বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। কোচবিহারের ডিএসপি (সদর) সমীর পাল বলেন, আমরা এদিন হোমে গিয়েছিলাম। ঘটনার তদন্ত চলছে।
কোচবিহার ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য কৃষ্ণা দত্ত বিশ্বাস বলেন, হোমে নিরাপত্তার ঘাটতি, কর্মীর অভাব নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। এই বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে তদন্ত হওয়া উচিত। কোনও গাফিলতি থাকলে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
ঘুঘুমারির ওই হোমে ৬৮ জন আবাসিকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। হোমের গেট দিয়ে ঢুকে সামনের বড় মাঠ পেরিয়ে থাকার ঘরগুলিতে পৌঁছতে হয়। ডান দিকে কয়েকটি ঘর আছে। পাশেই রান্নাঘর, স্টোররুম, ইনচার্জের ঘর রয়েছে। বাঁ দিকে আরও একটি থাকার ঘর রয়েছে। হোম কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘটনার দিন মহাদেব আগেই খেয়ে নিয়েছিল। এরপরেই তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। যে হোমে এতগুলি শিশু কিশোর রয়েছে সেখানকার ইনচার্জের ঘরের চাবি দরজার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই ঘরের জানালায় গ্রিল নেই। ইনচার্জের দাবি, ঘটনার সময় জানালা বন্ধ ছিল। মৃতের মায়ের অভিযোগ, তার ছেলেকে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।