গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সোমবার গভীর রাতে তেলিপাড়া মোড়ে দলের এক নেতার বাড়িতে দলীয় সভা সেরে সঙ্গীদের নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কুমারগ্রাম ব্লক সভাপতি ধীরেশবাবু। তেলিপাড়া বিএফপি স্কুলের সামনের রাস্তায় ধীরেশবাবুর গাড়িতে এই হামলা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ধীরেশবাবুর উপর এই পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওই হামলায় ধীরেশবাবু অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও তাঁর গাড়ির পেছনে বাইকে থাকা তৃণমূলের তিন কর্মী জখম হয়েছেন। জখম কামাখ্যাগুড়ি-১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান পরিমল বিশ্বাস, সুশীলচন্দ্র রায় ও মিহির নার্জিনারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সুশীলবাবুর চোট গুরুতর। তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের আইসিইউ’তে রাখা হয়েছে। বিজেপি’র পাল্টা অভিযোগ, ওই হামলার পর তেলিপাড়ায় তাদের দলের এক মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে তৃণমূলের লোকজন ভাঙচুর চালিয়েছে। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হামলার সময় তৃণমূলের লোকজন হামলাকারী তিনজনকে পাকড়াও করে রাতেই পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে। পরে পুলিস ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাতেই স্থানীয় ১৬ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, এলাকায় তল্লাশি চলছে। বিজেপি’র অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধীরেশবাবু বলেন, বিজেপি’র গুন্ডারা লোহার রড, বল্লম ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, গত রবিবার বারোবিশায় আমাদের মিছিল দেখে বিজেপি নেতৃত্ব আতঙ্কিত।
বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, কুমারগ্রামে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দের ফলে ধীরেশবাবুর উপর এই হামলা হয়েছে।
এদিকে, এই হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে তেলিপাড়া মোড় থেকে বারোবিশা চৌপথি পর্যন্ত অসমগামী ৩১-সি জাতীয় সড়কে তৃণমূল ধিক্কার মিছিল ও পথসভা করে।
অন্যদিকে, এদিন বড়কইমারি গ্রামপঞ্চায়েতের শিবপুর চৌপথী এলাকায় বিজেপি’র অবরোধ তুলতে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল পুলিসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদিকে বাজার এলাকায় অশান্তি পাকানোর অভিযোগে নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। লাঠিচার্জের কথা অবশ্য মানতে চায়নি তারা।
তার আগে সোমবার রাতে শীতলকুচির খলিসামারি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণা বর্মনের বাড়িতে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি’র বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
এব্যাপারে তৃণমূলের শীতলকুচির স্থানীয় নেতা সাহের আলি মিঁয়া বলেন, খলিসামারি প্রধানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। বড়কইমারি এলাকায় আমাদের এক নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি’র প্রাক্তন জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন অবশ্য বলেন, মঙ্গলবার পুলিশ শিবপুর চৌপথী এলাকায় ঢুকে বেধড়ক মারধর করে আমাদের দলের সদস্যদের তুলে নিয়ে গিয়েছে। এছাড়া খলিসামারিতে প্রধান নিজেই বাড়ির সামান্য অংশ ভাঙচুর করে আমাদের নামে বদনাম করছেন।