ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
মালদহ জেলা বিজেপি’র সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, ‘দিদিকে বলো’ আসলে লোক দেখানো। প্রায় দেড় মাস হয়ে গেল এই কর্মসূচি চালু হয়েছে। শুনছি নাকি একেক দিনে লক্ষ ফোন যাচ্ছে। কিন্তু এবার তৃণমূল নেতাদের হিসাব দিতে হবে ক’টি সমস্যার সমাধান তাঁদের নেত্রী করতে পেরেছেন। আমরা বছরভর মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। তাই ঢাকঢোল বাজিয়ে আলাদা করে জনসংযোগ করতে হয় না। পুরসভার নির্বাচন আসন্ন। আমরা নিজস্ব পদ্ধতিতেই নাগরিকদের কাছে যাব। আমরা মানুষকে কী কী পরিষেবা দেব তার সুনির্দিষ্ট তালিকা নাগরিকদের হাতে তুলে দেব। তাঁদের মতামতও নেব। আমরা চাই পুরসভা পরিচালনা করুক পুর এলাকার নাগরিকরাই। এই লক্ষ্যেই আমরা এগচ্ছি।
মালদহে বিজেপি’র সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত ওই বিজেপি নেতার বক্তব্য, তৃণমূল সম্প্রতি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে জনসংযোগ করছে। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ— দু’টি পুরসভাই কার্যত নির্বাচনের অনেক আগেই হেরে বসে রয়েছে তৃণমূল। এরপরে আমরা যখন মাস্টার স্ট্রোক দেব তখন ওরা বুঝবে আমাদের প্রস্তুতি কীরকম চলছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি ওয়ার্ড ধরে ধরে নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা। ওয়ার্ডে যে কয়েকটি পাড়া রয়েছে তার সব ক’টিতেই বৈঠক করবেন বিজেপি’র নেতা-কর্মীরা। চায়ের ব্যবস্থা আব্যশিক। খানিকটা পাড়া বৈঠকের ধাঁচে এই বৈঠকগুলি থেকে স্থানীয় সমস্যাগুলি জেনে নেওয়া হবে। একই সঙ্গে গল্পের ছলে নাগরিককদের কাছ থেকে প্রার্থী হিসাবে তাঁদের পছন্দের নামগুলি জেনে নেওয়া হবে। এরপর একেকটি ওয়ার্ড থেকে যে নামগুলি আসবে তার মধ্যে থেকেই ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী বেছে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ইংলিশবাজার পুরসভায় বিজেপি’র তিনজন কাউন্সিলার রয়েছেন। একজন কাউন্সিলার আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহের প্রায় সব ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। দলের জেলা নেতৃত্বের দাবি, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে এই দুই এলাকার পুরসভা নির্বাচনেও।
গোবিন্দবাবু বলেন, এই দুই পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রেই তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ খেয়োখেয়ি নাগরিকরা দেখেছেন। পুর পরিষেবা শিকেয় তুলে ক্ষমতা কার দখলে থাকবে তা নিয়েই ব্যস্ত তৃণমূলের কাউন্সিলাররা। তাই মানুষ ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন। আমরাও নাগরিকদের বলছি, পুরসভাকে ঘুঘুর বাসা হতে দেব না। আর যে ঘুঘুর বাসা রয়েছে তা উৎখাত করা হবে।
তবে বিজেপি’র এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলার থেকে জেলা সভানেত্রী সকলেই। ইংলিশবাজার পুরসভার দীর্ঘদিনের তৃণমূল কাউন্সিলার সুব্রত সর্দার বলেন, বিজেপি’র দাবি অসার। লোকসভার পুনরাবৃত্তি কোনও মতেই পুরসভা নির্বাচনে হবে না। পুরভোটে তৃণমূল শুধু জিতবেই না। আগের চেয়ে বেশি ব্যবধানে জিতবে। তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, বিজেপি নেতাদের বোঝা উচিৎ লোকসভা ও পুরসভা নির্বাচনের বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য রয়েছে। ওঁরা যত ইচ্ছে পরিকল্পনা করুক। দু’টি পুরসভাই অনায়াসে দখলে রাখবে তৃণমূল।