ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
ওই পুকুরগুলিতে জমে থাকা আবর্জনা থেকে বর্ষায় এলাকায় মশামাছির উপদ্রব প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, বৃষ্টি হলে পুকুরগুলোতে জমে থাকা নোংরা ও প্লাস্টিক ভেসে এসে এলাকার নর্দমাগুলোতে ঢুকে পড়ে। ফলে নিকাশি ব্যবস্থার ক্ষতি হয়। তারপরও পুরসভার এব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই। সাড়ম্বরে নির্মল বাংলা সপ্তাহ পালন করা হলেও প্রকৃত অর্থে আর্বজনা পরিষ্কারে কোনও গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে না। যদিও পুরসভা দাবি করেছে, আবর্জনা সাফ করতে বাইরে থেকে কিছু শ্রমিক নিয়ে আসা হবে কয়েকদিনের মধ্যে। তাঁরা এলেই পুকুরগুলো সাফাইয়ের কাজ করা হবে।
নদীবেষ্টিত মাথাভাঙা শহরের একাধিক জায়গায় বেশ কিছু পুকুর রয়েছে। পুকুরগুলি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করার দাবি উঠলেও এব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভ্যাট না থাকায় অনেক সময়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা ওই পুকুরগুলির পাড়েই আর্বজনা জমা করে রাখেন। পরে পুরসভার সাফাইকর্মীদের সেগুলো নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু অনেক সময় সাফাইকর্মীরা সেগুলো নিয়ে না গিয়ে পুকুরের পাড়ে সরিয়ে রাখেন। ফলে দীর্ঘসময় ধরে পড়ে থাকে আর্বজনা। শুকনো দিনে খুব একটা সমস্যা না হলেও বর্ষা আসলেই বিপত্তি দেখা দেয়। পুকুরে বৃষ্টির জল জমে থাকে। দুর্গন্ধ বাড়ে। এলাকায় বৃদ্ধি পায় মশামাছির উপদ্রব। পুকুর উপচে আর্বজনা নর্দমায় চলে আসার ফলে নিকাশি ব্যবস্থারও ক্ষতি হয়। চরম বিপাকে পড়তে হয় বাসিন্দাদের।
শহরের ৩, ৪, ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে এধরনের বেশ কয়েকটি পুকুর রয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাসের সামনে পুকুরের পাড়ে দীর্ঘদিন ধরে নোংরা জমে থাকলেও তা সাফ করতে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঢাকঢোল পিটিয়ে শহরে নির্মল সপ্তাহ পালন তাই লোকদেখানো অনুষ্ঠান ছাড়া আর কিছুই নয়। অভিযোগ, শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের জংলী কালিবাড়ি এলাকায়, যেখানে অস্থায়ী মাছবাজার বসানো হয়েছিল, সেখানে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড। গোটা এলাকা আর্বজনায় ভরে রয়েছে। বাঁধের রাস্তা দিয়ে দুর্গন্ধে মানুষ হাঁটতে পারেন না। পাশেই একটি পার্ক থাকলেও দুর্গন্ধের ফলে সেখানে বাচ্চারাও খেলতে যায় না। ওই জায়গাটি পরিষ্কার করার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। ওই এলাকার আর্বজনা তুলে এনে স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলার দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু এব্যাপারেও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না পুরসভা।
এব্যাপারে মাথাভাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক বলেন, শহরকে সামগ্রিকভাবে স্বচ্ছ করে তোলার লক্ষ্যে নির্মল বাংলা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। পুকুরগুলোতে আর্বজনা জমে রয়েছে ঠিকই তবে আমরা বাইরে থেকে শ্রমিক নিয়ে এসে পুকুরের আর্বজনা সাফ করব। কয়েকদিনের মধ্যে শ্রমিকরা এসে যাবেন। সেদিকে নজর রয়েছে আমাদের।