ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন বলেন, পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলার বেহাল রাস্তাগুলি সংস্কার করা হবে। রাস্তা সংস্কারের জন্য চলতি সপ্তাহেই টেন্ডার ডাকা হবে। পুজোর আগেই আমরা ভাঙা রাস্তাগুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মেরামত করার চেষ্টা করছি।
জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তৃণমূলের দুলাল দেবনাথ বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই ওয়ার্ক অর্ডার করা হবে। আমরা প্রতিটি ব্লক থেকে দুই-তিনটি করে রাস্তা বেছে নিয়ে কাজে নামতে যাচ্ছি। জেলার গ্রামীণ এলাকার মোট ২৪টি রাস্তা সংস্কার করা হবে।
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নুরজাহান বেগম বলেন, আমরা জেলা পরিষদের প্রত্যেক সদস্যর কাছ থেকে তাঁর এলাকার একটি করে রাস্তা সংস্কারের জন্য জানতে চেয়েছি। জমা পড়া তালিকা ধরে তার ভিত্তিতে কাজ শুরু হবে।
দীর্ঘদিন ধরে জলপাইগুড়ি জেলায় একাধিক রাস্তার দুর্দশা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই জেলাজুড়ে গ্রামীণ বেহাল রাস্তাগুলির হাল ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা পরিষদ। গ্রামের ভাঙা রাস্তাগুলি বাসিন্দারা রোজ ঝুঁকি নিয়ে ব্যবহার করছেন। মাঝেমধ্যে ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটছে। এনিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। গ্রামের কৃষিজপণ্য হাটেবাজারে, শহরে নিয়ে যেতে চাষিদের অতিরিক্ত গাড়িভাড়া গুনতে হচ্ছে। কিছু কিছু রাস্তা একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে আছে। গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, ভাঙা রাস্তা সংস্কার করার জন্য বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি। ফলে ক্ষোভের পারদ চড়ছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। গ্রামীণ রাস্তা খানাখন্দে ভরা থাকায় অ্যাম্বুল্যান্স যেতেও সমস্যা হচ্ছে। রাস্তা খারাপের জন্য পরিবহণ খরচ বেড়ে যাচ্ছে। গ্রামীণ রাস্তাগুলি দ্রুত সংস্কারের দাবি উঠেছে। পুজোর আগেই ভাঙা রাস্তা সংস্কারের জন্য জেলা পরিষদ উদ্যোগী হওয়া বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরছে।
সম্প্রতি জেলার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি নিয়ে জেলা পরিষদে বৈঠক হয়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ওই বৈঠকে ১৯ জন সদস্যের কাছে বেহাল রাস্তাগুলির ব্যাপারে জানতে চান। প্রাথমিক আলোচনার উপর আগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ২৪টি রাস্তা সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩৪ কিমি রাস্তা সংস্কার করা হবে। জলপাইগুড়ি শহরের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তাগুলিকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। সদর ব্লকের পাঁচটি, মাল ব্লকের তিনটি, মেটেলির দু’টি, নাগরাকাটার তিনটি, রাজগঞ্জ ব্লকের চারটি, ময়নাগুড়ির তিনটি, ধূপগুড়ির চারটি রাস্তা সংস্কার করা হবে। বর্তমানে ওসব রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। ওই ২৪টি রাস্তা সংস্কারের জন্য ৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চা বাগান এলাকার রাস্তা সহ কৃষি প্রধান এলাকার রাস্তাগুলির তালিকা করা হচ্ছে।